এই নোমান একাদশ সংসদ নির্বাচনে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোয় পাপুল রায়পুরের ওই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে নৌকার কোনো প্রার্থী ছিলেন না। লাঙলের প্রার্থী নোমানও ভোটের মাঠ ছেড়ে দেওয়ায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পাপুলের পক্ষে নেমেছিলেন।
পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলোচনা ওঠে যে, তার কাছ থেকে অর্থ নিয়েই ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নোমান এবার ভোটের মাঠ ছেড়ে আত্মগোপন করেছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নোমানকে বহিষ্কার করা হল তা স্পষ্ট, যদিও এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা খোলসা করা হয়নি।
রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. নোমান (লক্ষ্মীপুর) কে জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ ও পদবী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
জি এম কাদের গঠনতন্ত্রের ২০/১(১) এর ‘ক’ ধারা বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নোমানের অব্যাহতিপত্রে সই করেছেন বলে জানানো হয়েছে।