রোববার দুপুরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে উত্তরার বাসা থেকে জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক দলের আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গাইডলাইনও দিতে পারে নাই। গোটা বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলা করার মতো কোনো রোড ম্যাপ বা পরিকল্পনার সবটাই অনুপস্থিত এথানে।
“কয়েকদিন আগে চীনা বিশেষজ্ঞরা এসে ঠিক একই কথা বলেছেন যে, বাংলাদেশে সব কিছু এলোমেলো। এখানে কোথায় রোগ আছে সেটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ তারা (সরকার) চিহ্নিত করতে পারছেন না এবং সেটাকে চিহ্নিত করবার জন্য কোনো ব্যবস্থা তাদের নেই।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকে আমাদের দুর্ভাগ্যের কথা যে, আমাদের সরকার প্রথম থেকে এই ভয়াবহ বৈর্শ্বিক মহামারীকে উপেক্ষা করেছেন, অবহেলা করেছেন। এটার পেছনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল।”
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনার প্যাকেজের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেটা মূলত ছিলো ব্যাংক ঋণ। এই মুহূর্তে মানবিক সহায়তায় সরকারের বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল।
“এখানে যে মানুষগুলো আজকে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, লকডাউনের কারণে, সাধারণ ছুটির কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়ছে অথবা যারা আজকে কাজ পাচ্ছে না তাদের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যে প্রয়োজন, সেই প্রয়োজনের টাকাও সরকার তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।”
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ৫০ লাখ পরিবারকে দেওয়া অনুদানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সেটাও পুরোপুরি দলীয়করণ করার ফলে যারা পাওয়া উচিত ছিলো তারা পায়নি। সেটাও মাত্র এককালীন।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক দলকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক দলের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণের কর্মসূচি হয়।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ প্রশমনে ‘আর্সিনিক এলবাম-৩০’ ও ‘ব্রায়োনিয়া এলবাম-৩০’ ওষুধ কয়েকশ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
চিকিৎসক দলের সভাপতি ডা. আরিফুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শফিকুল আলম নাদিমের পরিচালরায় সহসভাপতি মশিউজ্জামান পান্নু, মজিবুল্লাহ মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম জাকির হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী নিজাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।