মুনাফালোভী হাসপাতাল-ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল চান খালেকুজ্জামান

মুনাফালোভী হাসপাতাল-ক্লিনিকসমূহের লাইসেন্স বাতিল করে মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন  বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2020, 12:52 PM
Updated : 27 June 2020, 12:52 PM

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “করোনা সংক্রমণের এই দুর্যোগের সময়ে বেসরকারি কিছু হাসপাতাল জনগণের চিকিৎসা প্রদানে শুরু থেকেই নিষ্ক্রিয় থেকে গণবিরোধী আচরণ করে আসছে। এখন আবার চিকিৎসার নামে অস্বাভাবিক বিল করে জনগণের গলাকাটা ও পকেট কাটার মহাউৎসব চালাচ্ছে।  আমরা এর  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”

এসব হাসপাতাল-ক্লিনিকসমূহের অধিগ্রহণ করে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ডাকাতি ও গণবিরোধী অমানবিক আচরণ বন্ধে এগুলোর লাইসেন্স বাতিলসহ মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কিছু হাসপাতালের অনিয়ম তুলে ধরে বিৃবতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, মুনাফালোভী মালিকেরা শুরুতে নিষ্ক্রিয় থেকে সরকারের সাথে দরকষাকষি করে ফায়দা তুলতে চেয়েছে। এদের অন্যতম আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, যার মালিক ‘ভোট ডাকাতির সংসদের’ একজন এমপি ও বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

“ওই হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একমাসের পরিচালনা ব্যয় বাবদ ১৭ কোটি টাকা দাবি করে যেখানে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ২০০ শয্যার একটি হাসপাতালে ১ মাসে পরিচালনা ব্যয় কোনোমতেই ৩ কোটি টকার বেশি হতে পারে না। গত ৩১ মের পরে সরকারের সাথে দরকষাকষিতে বণিবনা না হওয়ায় চুক্তি থেকে সরে যায়।”

সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খালেকুজ্জামান বলেন, করোনা চিকিৎসার নামে এই হাসপাতালে রোগীদের গলা কাটা হচ্ছে। একজন রোগী অভিযোগ করেছে তাঁকে ১ ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়া বাবদ বিল করেছে ৮৬ হাজার টাকা। কেবিনে কোনো নার্স, আয়া যায়নি, নিজের রুম নিজেই পরিষ্কার করেছে তবুও সার্ভিস চার্জ বাবদ বিল করেছে ২৪ হাজার টাকা।

“ইউনাইটেড হাসপাতালে ৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পুড়ে মারা গেল। মালিবাগে প্রশান্তি নামের এক ক্লিনিকে রোগীকে আইসিইউ-তে না রেখেই আইসিইউ’র বিলসহ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিল করেছে এবং টাকার জন্য রোগীর লাশ বেডের সাথে বেঁধে রাখার ছবিও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

“এভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটে চললেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের পক্ষ থেকে ঐ সব বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের গলা কাটা, জনগণের পকেট কাটার এবং অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা আজও পর্যন্ত নেয়া হয়নি।