মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মোহাম্মদপুরের নিজ বাড়িতে ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয় বলে তার ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এ আর এম জোয়াহেরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ময়মনসিংয়ের ফুলবাড়িয়া-ত্রিশাল আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমএনএ নির্বাচিত হন অ ন ম নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গঠিত গণপরিষদেরও সদস্য ছিলেন তিনি।
পরে ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) থেকে আবারও এমপি নির্বাচিত হন নজরুল। প্রথম সংসদে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা যখন শহীদ হন, অ ন ম নজরুল তখন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের শিক্ষক।
রাজশাহীর ঘটনার প্রতিবাদে আনন্দ মোহনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ শাস্তিও দিয়েছিল তখনকার এই তরুণ শিক্ষককে।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নজরুল সত্তরের দশকে বৃহত্তর ময়মনসিং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের বিশেষ সহকারীর দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম তার পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। মৃত্যুর সময় স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন তিনি।
জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার আছরের নামাজের পর ফুলবাড়িয়ার লাঙ্গল শিমুল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান তার ভাইকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাবেক এই সাংসদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বলে দলের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান জানান।