দল নিবন্ধন আইন: খসড়ার ওপর মতামত ৭ জুলাইয়ের মধ্যে

প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের বিষয়ে মতামত জানতে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2020, 04:59 PM
Updated : 16 June 2020, 04:59 PM

ইসির জনসংযোগ পরিচালক যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইনটি চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামত প্রয়োজন। সেজন্য আইনের খসড়া দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।

খসড়াটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও (www.ecs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে ই মেইলে (secretary@ecs.gov.bd) মতামত পাঠানো যাবে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এর অনুচ্ছেদ ৯০ এ থেকে ৯০ ই পর্যন্ত নিয়ে আলাদাভাবে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন’ নামে বাংলায় এই আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত ও বিধি-বিধানে কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত করে কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে সেখানে।

বিদ্যমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়।

১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনে দলটির অন্তত একজন যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন;

২. যে কোনো একটি জাতীয় নির্বাচনে দলের প্রার্থী যদি অংশ নেওয়া আসনগুলোতে বাক্সে পড়া মোট ভোটের ৫ শতাংশ পায়।

৩. দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ [২১টি] প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে- নিবন্ধন পেতে হলে এসব শর্তের যে কোনো দুটি পূরণ করতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক দলের সব স্তরের কমিটিতে ৩৩% নারী প্রতিনিধি রাখার শর্ত পূরণে দলগুলোর গঠনতন্ত্রে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

খসড়ায় বলা হয়েছে, দলের গঠনতন্ত্রে এক দলীয় ব্যবস্থা বা দলবিহীন ব্যবস্থার আদর্শ সংরক্ষণ বা লালন করলে সেই দল নিবন্ধনের অযোগ্য হবে।

ইসি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, মূল আরপিও থেকে বাংলায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে ইংরেজি ও বিদেশি শব্দের বদলে ‘গ্রহণযোগ্য’ বাংলাভাষায় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

যেমন সিটি করপোরেশনকে মহানগর, মেয়রকে মহানগর আধিকারিক; পৌরসভাকে নগর ও নগর সভা, মেয়রকে পুরাধ্যক্ষ বা নগরপিতা; কাউন্সিলরকে পরিষদ সদস্য; ওয়ার্ডকে মহল্লা; উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানকে উপজেলা পরিষদের প্রধান ও উপ প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদকে পল্লি পরিষদ বলার প্রস্তাব করা হয়েছে।