তবে ব্রেইন স্ট্রোকের পর তিনি এখনও ‘লাইফ সাপোর্টে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
তিনি বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় বার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করালে ফল নেগেটিভ আসে। আবার আজকে তৃতীয় টেস্টও নেগেটিভ এসেছে।”
দেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসার নীতিমালা অনুসারে পরপর দুইবার নমুনা পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ এলে রোগীকে সুস্থ ধরা হয়। সে অনুসারে নাসিম করোনাভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।
১ জুন হাসপাতালে ভর্তির পর নমুনা পরীক্ষায় নাসিমের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। পরে ৮ জুন পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসে।
তবে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির চার দিন পর নাসিমের ব্রেইন স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়।
ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এখনও ওই অবস্থায় রয়েছেন ৭২ বছর বয়সী নাসিম। ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
অধ্যাপক কনক বড়ুয়া বুধবার সকালেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্রিটিক্যাল অবস্থায় যাওয়ার পর থেকেই লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি।”
নাসিমের পরিবার তাকে সারিয়ে তুলতে বিদেশে নিয়ে যেতে চাইছে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম পঞ্চমবারের মতো সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করে আসছেন।