ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হবে ৬ দফা দিবস

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে এবার ভিন্ন আঙ্গিকে পালিত হবে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2020, 12:03 PM
Updated : 6 June 2020, 12:03 PM

১৯৬৬ সালের ৭ জুন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য অবসানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ‘মুক্তির সনদ’ ৬ দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বাঙালি।

বরাবর নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালিত হলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি রোববার একটি ভার্চুয়াল সভা আয়োজন করেছে। এক তথ্য বিবরণিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারণকৃত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। আলোচক থাকছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বাংলাদেশ টেলিভিশন রোববার সন্ধ্যা ৭টায় এ বিশেষ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে।

৬ দফা আন্দোলন ও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে রোববার রাত ৯টায় অনলাইনে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেছে জাতীয় কমিটি।

আওয়ামী লীগও করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সমবেত না হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ছয় দফা দিবসের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাকিস্তানি শাসন-শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ডাকা এক জাতীয় সম্মেলনে পূর্ব বাংলার জনগণের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে ৬ দফার পক্ষে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান শুরু করেন এবং বাংলার আনাচে-কানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে জনগণের সামনে ৬ দফার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বাংলার সর্বস্তরের জনগণ এই ৬ দফা সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জন করে এবং ৬ দফার প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন জানায়।

১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬ দফা দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সারা বাংলায় আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল পালিত হয়।

হরতাল চলাকালে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীতে সৈন্যদের গুলিতে মনু মিয়া, সফিক ও শামসুল হকসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। গ্রেপ্তার হন অনেকে। স্বাধিকারের এই আন্দোলন ও আত্মত্যাগের পথ বেয়েই শুরু হয়েছিল বাঙালির চূড়ান্ত স্বাধীনতার সংগ্রাম।