দেলোয়ার হোসেন নামের ওই ছাত্র নেতা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রি কলেজের আহ্বায়ক।
ঈদের একদিন আগে ২৫ মে রাতে দেলোয়ারের নগদ অ্যাকাউন্টে সরকারের মানবিক সহায়তার আড়াই হাজার টাকা আসে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সঙ্কটে থাকা ৫০ লাখ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে আড়াই হাজার টাকা করে দেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই টাকা পাঠানো হয়।
নিজের নাম সরকারের কোনো তালিকায় না থাকার পরও এই টাকা পেয়ে প্রথমে অবাক হন দেলোয়ার। এরপর প্রকৃত পাওনাদারের কাছে তা পৌঁছাতে তার খোঁজে নামেন তিনি।
দেলোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রথমে তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে সাতদিন পার হলেও তিনি প্রকৃত পাওনাদারের খোঁজ পাচ্ছিলেন না।
এরপর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের ই মেইল ঠিকানা সংগ্রহ করে তাকে ঘটনাটি জানান তিনি।
দেলোয়ার বলেন, এর পরদিন সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল ইসলাম তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সোনালী ব্যাংকের একটা একাউন্ট নম্বর দিয়ে সেখানে ২ হাজার ৫০০ টাকা জমা করতে বললে তিনি তা সেখানে জমা করেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মোবাইল নম্বরের শেষের একটি ডিজিটের ভুলে লাকি আক্তারের টাকা দেলোয়ার হোসেনের একাউন্টে চলে গিয়েছিল।”
তিনি বলেন, “দেলোয়ারের কাছে বিষয়টি জানার পর আমি প্রকৃত পাওনাদারকে খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেই। আমার উপজেলার তালিকায় প্রকৃত পাওনাদারের নাম খুঁজে পাইনি।
“পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত পাওনাদার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা লাকি আক্তারকে খুঁজে পেলে প্রশাসন তাকে টাকাটা বুঝিয়ে দেয়।”