বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ ফ্লাইটে মোরশেদ খান ও তার স্ত্রী নাসরিন খান লন্ডনে গেছেন বলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান জানিয়েছেন।
মোরশেদ খানের একজন সহকারী শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার গতকাল চার্টার্ড বিমানে লন্ডনে গেছেন চেকআপ করাতে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। স্যারের সাথে উনার স্ত্রী ম্যাডাম নাসরিন খানও আছেন।”
মোরশেদ খানের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ থেকে ওই বিমানটি ভাড়া করা হয়েছে। তাতে যাত্রী ছিলেন শুধু দুজন- মোরশেদ খান ও স্ত্রী নাসরিন খান।
মোরশেদ খানের লন্ডন যাওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে এমন একজন বিএনপি নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাস আতঙ্কে তিনি দেশ ছেড়েছেন। কারণ এখানে চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা নেই।
“সেজন্য বিমান ভাড়া করেই দ্রুত তাকে চলে যেতে হয়েছে চিকিৎসার কথা ভেবে।”
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মোরশেদ খান। এর আগে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার আমলেও মন্ত্রী পদমর্যাদায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ দূত ছিলেন তিনি।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার বেয়াই মোরশেদ খান।
মোরশেদ খান একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের অন্যতম মালিক এবং এবি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের মধ্যে একজন ছিলেন।
সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের মামলায় গত বছর ১০ জুন মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তবে এরপরে উচ্চ আদালত তার বিদেশযাত্রায় বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দেয় বলে জানিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আদালতের সেই কাগজ দেখিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে লন্ডনে গেছেন মোরশেদ খান।”
চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত মোরশেদ খান গত বছর একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন।তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।