বঙ্গবন্ধুর ‘বিশ্ববন্ধু’ হওয়ার দিন স্মরণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির দিনটি স্মরণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2020, 07:48 AM
Updated : 23 May 2020, 07:50 AM

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি বলেছে, মানবতা ও শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে এই পদক প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ‘বিশ্ববন্ধু’ হয়ে উঠেছিলেন।

বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ বলেছে, বঙ্গবন্ধুর এই পদকপ্রাপ্তিতে দেশ ও জাতি হয়েছিল গর্বিত।

৪৭ বছর আগে ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা, গণতন্ত্র, ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক দিয়েছিল।

বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে পদার্থ বিজ্ঞানী মেরি কুরি ও পিয়েরে কুরির অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে ও মানবতার কল্যাণে শান্তির স্বপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ পদক দিয়ে আসছে।

ফিদেল কাস্ত্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আয়েন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, লিওনিদ ব্রেজনেভের মতো বিশ্ব নেতারা এই পদক পেয়েছেন।

ফাইল ছবি

দিনটি স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক কামাল চৌধুরী বলেন, “বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

“এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু থেকে পরিণত হন বিশ্ববন্ধুতে।”

করোনাভাইরাস সঙ্কটের এই সময়ে দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ এক অনলাইন আলোচনা সভা আয়োজন করে।

এতে শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টূ বলেন, “বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাঙালি, যিনি এই বিরল আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, যা আমাদের দেশ ও জাতির জন্য বিরাট গর্বের বিষয়।”

‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে’- বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি স্মরণ করে তিনি বলেন, “আজকের করোনাআক্রান্ত বিশ্বেও যখন যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে, তখন বঙ্গবন্ধুর উল্লিখিত বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা আমরা উপলব্ধি করতে পারি।”

সভায় বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। সভাটি পরিচালনা করেন শান্তি পরিষদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসান তারিক চৌধুরী।