শুক্রবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির কক্ষে সাংবাদিকদের মধ্যে ভাইরাস প্রতিরোধী সামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যখনই দেশে কোনো দুর্যোগ আসে জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান। আম্পানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সারারাত তিনি মনিটরিং করেছেন এবং তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে।
“এর আগেও তিনি যেভাবে সবাইকে নিয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছেন, তা পৃথিবীর সামনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে এক অনন্য উদাহরণে পরিণত করেছে।”
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিএনপির শুধু সিদ্ধান্তের অভাবে এক ডজন যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, যেগুলো ঝড়ের আগে উড়িয়ে ঢাকা বা যশোরে আনলেই রক্ষা পেত বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
“সেইসাথে অনেকগুলো জাহাজ শুধু আরো উজানে নোঙর না করার কারণে নোঙর ছিঁড়ে ডাঙায় উঠে এসেছিল। আর লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা, তত প্রাণহানি হয়নি।”
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, বিএফইউজে'র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ সভায় বক্তব্য রাখেন।
নানা গুজবের বিরুদ্ধে মূলধারার সাংবাদিকরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ তিনি বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় যে কাজ শুরু করেছিল, তা দ্রুততার সাথে করা হবে। একইসাথে ঈদের পরপরই গুজব রটনাকারী ভুয়া অনলাইন পোর্টালগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহামারীর মধ্যে সাংবাদিকরা সম্মুখযোদ্ধা এবং সারাদেশে ছুটি হলেও সাংবাদিকদের কোনো ছুটি নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাংবাদিকদের সাথে রয়েছে, সবসময় ছিল এবং থাকবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি নজরুল কবীর, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।