বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার বিভাজনের রাজনীতি আর ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার পুরানো কৌশল অব্যাহত রেখেছে।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে উদ্ধারের পর কারাগারে পাঠানো, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূইয়াকে গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপটে এই অভিযোগ করেন ববি হাজ্জাজ।
তিনি বলেন, “সহনশীলতা প্রদর্শনের পরিবর্তে গতকাল রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়া অঞ্চল থেকে ফেইসবুকে সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মোশতাক আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। অন্য দিকে একটি রাজনৈতিক মঞ্চের কর্মী দিদারুল ইসলামকে ইফতারের আগ মুহুর্তে সাদা পোষাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে৷
“এভাবে আমাদের চিন্তা করার স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকারকে রুদ্ধ করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে হেরে যাচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রচিন্তা।”
এই সঙ্কটকালে সরকার ‘বিভাজনের রাজনীতি’ করছে দাবি করেন ববি হাজ্জাজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখার সমালোচনাও করেন তিনি।
“স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং করলেও সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে। কোন বিশেষ মহলের ইন্ধনে এই কাজ করা হয়েছে, তা আমরা জানি না৷”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের দেওয়া তথ্য নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন তিনি।
“করোনা উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করাতে এসে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্ট করছে৷ বারবার চেষ্টা করেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে না পারা, ফলাফল প্রকাশে বিড়ম্বনা, ফলাফল নিয়ে বিভ্রান্তি। মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নকল মাষ্ক সরবরাহ করে ইতোমধ্যে সমালোচিত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা দিবালোকের মতো পরিষ্কার।”
এই পরিস্থিতিতে সরকারকে গণতান্ত্রিক এবং সহিষ্ণু রাজনৈতিক আচরণ করতে আহ্বান জানান তিনি।