সোমবার জোট নেতাদের এক যৌথ বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, কমিউনিস্ট লীগের নেতা মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক।
করোনাভাইরাস সঙ্কটকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে সব দলের নেতা ও বিশেষজ্ঞ নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি ছিল বাম, জোটের, তা সরকার না মানায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার দলীয় সংকীর্ণতা, একগুয়েমী করে একলা চল নীতি নিয়ে চলছে, যা দেশকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”
“এখনও সময় আছে অবিলম্বে সর্বদলীয় সভা যেকে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন,” আহ্বান জানিয়েছে বাম জোট।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সরকারের অব্যবস্থাপনা, অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়হীনতা আতঙ্কিত মানুষকে কোনো ভরসা দিতে পারছে না।
“প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ত্রাণের চাল চুরির খবর প্রতিদিনই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবাখাতে নিয়োজিতদের সুরক্ষা সামগ্রীর পর্যাপ্ততা ও মান নিয়ে সর্বত্র নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।”