ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ লোক ভাড়া করে, দাবি তথ্যমন্ত্রীর

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের জন্য যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল বলে তথ্য পাওয়ার দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2020, 11:21 AM
Updated : 17 April 2020, 11:21 AM

গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য পাওয়ার কথা জানান তিনি।

বিশ্বে মহামারী রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে কার্যত লকডাউনে বাংলাদেশ, ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ; ত্রাণের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভেও নেমেছে তারা।

ত্রাণের দাবিতে এই বিক্ষোভ বগুড়ায়

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “গত কয়েক দিনে আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পেয়েছি, ত্রাণের জন্য কয়েক জায়গায় বিক্ষোভ। কিন্তু আজকে গণমাধ্যমেই খবর প্রকাশিত হয়েছে এবং সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে তথ্য আছে, গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্য বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে, এই বিক্ষোভের অনেকগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিল।

“রাজনৈতিক ইন্ধন দিয়ে লোক ভাড়া করে এনে বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।”

সরকার সফলভাবে দুস্থদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, “শুধু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ই নয়, পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। ত্রাণের জন্য হটলাইন খোলা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা আশপাশের কোনো দেশে করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। এসব পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়।”

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

“বাংলাদেশে ৭০ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি আছে। সেখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি ঘটনাও কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কঠোর হাতে দমন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং যেখানেই এই ধরনের ঘটনা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই সরকার-প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মে জড়িত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বিএনপির সদস্যরাও রয়েছে বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ।

“গত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে বিভিন্ন দলের সমর্থকরা এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এখানে বিএনপিরও বেশ কয়েকজন আছে। তবে সরকার কে কোনো দলের, কোন মতের, সেটি না দেখে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

করোনাভাইরাস সঙ্কটের এই সময়ে সরকারের সমালোচনা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।  

“সরকার যখন কাজ করছে, তখন একটি পক্ষ বিশেষ করে যারা সবসময় সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত, সেই বিএনপি নিজেরা কোনো কাজ করছে না, শুধু লোক দেখানো ফটোসেশনে ব্যস্ত। তাদের বলবো এখন সরকারের সমালোচনা করার সময় নয়।”