গরিবদের বিনামূল্যে খাবার, মধ্যবিত্তের জন্য রেশন চালুর দাবি বাম জোটের

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের কারণে সঙ্কটে পড়া শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষদের ৬ মাস বিনামূল্যে খাবার এবং মধ্য বিত্তের জন্য রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2020, 02:31 PM
Updated : 10 April 2020, 02:32 PM

পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের রোগী বাড়তে থাকায় দেশের প্রতিটি জেলায় পরীক্ষাগার স্থাপন করে আক্রান্তদের শনাক্তের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা বিস্তৃত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে শুক্রবার জোটের নেতারা ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত হয়ে সভা করে এ দাবি জানান বলে জোটের অন্যতম শরিক দল বাসদের নেতা রাজেকুজ্জামান রতন জানিয়েছেন।

বাম জোট নেতারা অভিযোগ করেছেন, সরকার যে ত্রাণ বিতরণ করছে, তা অপ্রতুল। ৭০/৮০ ভাগ হতদরিদ্র মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না। এছাড়া সরকারের ত্রাণ বিতরণে দলীয়করণ, দুর্নীতি ও চুরির ঘটনাও ঘটে চলেছে, যা ইতোমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়েছে।

সভায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য খাদ্য শস্য মজুদ বাড়ানো এবং আসন্ন বোরো মৌসুমে ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়তের জন্য সরকারি উদ্যোগে ব্যবস্থাপনার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে হাওরের ধান কাটার জন্য বিশেষ মনোযোগ দাবি করা হয়।

জেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার দাবি জানিয়ে বাম জোটের নেতারা বলেন, দেশে শুরুতে একটি মাত্র ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখা গেলেও বাস্তবে যখন পরীক্ষার ল্যাব বাড়ানো হয়েছে, তখন দেখা যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

এজন্য সরকারি-বেসরকারি নির্দিষ্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, সারাদেশে জেলা-উপজেলায় স্টেডিয়ামগুলোকে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করে প্রয়োজনীয় সনাক্তকরণ কিট, সকল চিকিৎসক-চিকিৎসাসেবা কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ এবং তাদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য বীমা সরকারি উদ্যোগে করারও দাবি জানানো হয়।

সভায় এ পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী-বিশেষজ্ঞদের ঐক্যবদ্ধ করে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

ভিডিও কনফারেন্স সভায় যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী।