নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অনেকটাই ঘরবন্দি থেকে সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে আসছেন এই দুই রাজনৈতিক নেতা।
নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে মৃত্যুহার বেশি থাকায় একে সরকারের ব্যর্থতা বলেছিলেন ফখরুল; তার জবাবে তার গণিতজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কাদের।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ নিয়ে ফখরুলের বক্তব্যের পরদিন সোমবার নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন কাদের।
তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে এই সংকটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাবগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রণোদনা প্যাকেজ ও কর্ম পরিকল্পনা জাতির সামনে তুলে ধরেছেন।
“এই প্যাকেজ পরিকল্পনা শুধু বিত্তবানদের স্বার্থকেই সমর্থন করবে, এমন বক্তব্য যারা দিয়েছেন, তারা অবাস্তব ও অর্বাচীন বক্তব্য দিয়েছেন।”
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন সেটা ভিত্তিহীন, অবাস্তব ও অর্বাচীন। তিনি ভালোভাবে যদি এই প্রণোদনা প্যাকেজটি পড়ে দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এতে বিত্তবানদের চেয়ে সাধারণ মানুষদের স্বার্থই প্রাধান্য পেয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব প্রণোদনা প্যাকেজ ও আর্থিক বরাদ্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রণোদনা প্যাকেজ ও আর্থিক বরাদ্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আমার কাছে মনে হয়।”
প্রণোদনার ব্যাখ্যায় কাদের বলেন, “প্রণোদনা প্যাকেজ মানে বাজেট বরাদ্দ বা ক্যাশ ট্রান্সফার নয়। সঙ্কটে অর্থনীতিকে আগের গতিশীলতায় ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য খাতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়া হয়, এই বাস্তবতাটুকু সম্ভবত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
“এই অর্থ যখন বাজারে আসবে তখন বিত্তবান, বিত্তহীন মধ্যবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষ, কর্মহীন মানুষ সবাই এর সুফল পাবে। এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”
চলমান সঙ্কটে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী কাদের বলেন, “নেতিবাচক সমালোচনা না করে আমাদের আজ উচিৎ হবে জনগণ ও দেশের স্বার্থে এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে ইতিবাচকভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।”