ত্রাণ বিতরণে দলীয়করণের অভিযোগ বিএনপির

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ‘শাটডাউন’ পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের তালিকা প্রণয়নে দলীয়করণের অভিযোগ তোলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2020, 07:03 AM
Updated : 6 April 2020, 11:00 AM

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “মধ্যবিত্তদের পকেটে টাকা নাই, গরীবের পেটে ভাত নাই। চারিদিকে কেবল নাই, নাই, নাই। এইসব মানুষদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করতে সরকার সারাদেশে যেসব চাল বরাদ্দ করেছে ইতিমধ্যে এইসব চাল বিতরণের জন্য তৈরি করা তালিকা নিয়ে দলীয়করণের অভিযোগ উঠেছে।

“রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা বেছে বেছে নিজস্ব লোকজনের মধ্যে চাল বিতরণ করছেন বলে গণমাধ্যমেও খবর বেরিয়েছে। এতোদিন হয়েছিল সরাসরি টাকা লোপাট, এখন হচ্ছে রিলিফ লোপাট।”

রিজভী বলেন, “গরীব মানুষের মধ্যে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার চলছে। ত্রাণের চাল চুরি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সতর্কবার্তা থাকলেও থেমে নেই অপকর্ম।

“প্রতিদিন সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল চুরি ও লুটপাটের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কারও কারও গুদামে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ভিজিডির চাল, ত্রাণের চাল উদ্ধার করা হচ্ছে।”

‘তারেকের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা’

রিজভী বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফেইসবুকে ফেইক আইডি খুলে কিছু অসাধু ব্যক্তি নানা ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সেই ফেইক আইডি থেকে গরীব মানুষদের সাহায্যের নামে বিভিন্নভাবে সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।

“প্রকৃতপক্ষে জনাব তারেক রহমানের নামে কোনো ফেইসবুক আইডি নেই। তিনি কোনো ফেইসবুক আইডি পরিচালনাও করেন না। মানুষকে প্রতারিত করার জন্য একটি চক্র জনাব তারেক রহমানের নামে ভুয়া ফেইসবুক আইডি খুলে বিভ্রান্তি তৈরির অপচেষ্টা করছে। এ বিষয়ে দেশের জনগণ ও দলের নেতা-কর্মীদের সর্তক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই প্যাকেজগুলো হচ্ছে মূলত সরকার সমর্থক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কম সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া। ঋণ দেওয়া ব্যাংকের স্বাভাবিক ব্যবসা। এটা প্রণোদনা নয়।

“মোট ঋণের সাড়ে ৭২ হাজার কোটি টাকাকেই প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে দেখানো আসলে মস্ত বড়ো একটা শুভঙ্করের ফাঁকি।”

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনায় গণমাধ্যমের কথা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এতোদিন ধরে গণমাধ্যমকে সহায়তার যে কথা বলা হয়েছিল তাও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজে উল্লেখ নাই। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছে।”