শনিবার দলটির পলিটব্যুরোর বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে এক সংবাদত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এই বৈঠক ভার্চুয়ালি হোয়াটাসঅ্যপের মাধ্যমে হয়।
বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে গণাম্যধমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ‘বিতর্কিত’ ধারা বাদ দেওয়ার দাবী করা হয়েছে।
প্রতিরোধে পুরো সরকারকেই নিয়োজিত করার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জোর দিয়েছিল। সেখানে করোনা
বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা প্রকট করে দেখিয়েছে। নেতৃত্ব শূন্যতা, অব্যবস্থাপনা, গোষ্ঠী স্বার্থপরতা প্রতিরোধ কার্যক্রমকে স্থবির করেছে।
“স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে সংখ্যাতত্ত্বই দিন, হাসপাতালগুলোও সেভাবে প্রস্তুত না। ফলে করোনা উপসর্গ নিয়ে যে মৃত্যু হচ্ছে তা হিসাব আসছে না। উপসর্গ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ভর্তি করছে না। চিকিৎসকরা সাধারণ রোগের চিকিৎসা করতে অপারগতা প্রকাশ করছে।
“ডাক্তারও স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা পরিধান (পিপিই) প্রয়োজন অনুসারে সরবরাহ না করায় তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তিত এবং তার থেকে চিকিৎসা দিতে অনাগ্রহ কেবল নয়, এমনকি চিকিৎসা না দিতে কর্মবিরতিও পালন করেছে কোথাও কোথাও। এটা সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকটেরই পরিচায়ক। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণের আরো বিস্তৃতি ঘটলে কি অবস্থা হবে সেটা অনুমেয়।”
দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ‘সদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হলেও তার বাস্তবায়নে আমলানির্ভরতাকে বাঁকা চোখে দেখছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
“রাজনৈতিক দল সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধিদের এক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই নাই। এমনকি ক্ষমতাসীন দলেও সেভাবে নাই। একথা সবার জানা যে কিভাবে এ ধরনের বিতরণ ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্থ। তাছাড়া সরকারের পক্ষে একা মোকাবেলা করা সম্ভব না।”
দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল ওই সভায় অন্যদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমদ বকুল, হাজেরা সুলতানা, কামরূল আহসান, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, অংশ নেন।