আবার কেউ কেউ অফুরন্ত অবসরের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন টেলিভিশন দেখা ও বই পড়াকে। মাঝেমধ্যে বেরিয়ে দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজনৈতিক যোগাযোগ আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে করছি। ভিডিও কনফারেন্সটাই এখন বেশি হচ্ছে। দলীয় যেসব কাজের নির্দেশনা সেগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটর করা হচ্ছে।
“আর মন্ত্রণালয়ের কাজ, আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) করেছি। সে অনুসারে কাজ চলছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে আপডেট নেওয়া হচ্ছে। সচিব পুরোটা সমন্বয় করছেন।”
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে প্রান্তিক জনগণের সঙ্গে যোগাযোগে সুবিধা দেখছেন আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ মাহমুদ।
দিনাজপুর-২ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, “আগে এলাকার মানুষদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করা বা কথা বলা হত। এখন সেটা হচ্ছে না। এরমধ্যে একটা বিষয় হচ্ছে- ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুবিধাগুলো একদম প্রান্তিক মানুষ ব্যবহার করতে পারছে।
“আমার এলাকার এক ভোটার সেদিন ফেইসবুক মেসেঞ্জারে আমাকে নক করে বলল, আপনার ভিডিওটা অন করেন। একটি পরিবারের সাথে আমার কথা হল। তাদের ছোট শিশুটি বলছে, মন্ত্রীর সাথে কথা বলবে। এখন আরও বেশি মানুষকে অ্যাটেন্ড করতে হচ্ছে।”
ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে অন্য দেশগুলোর মতোই লম্বা ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার; ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই ছুটি, এই সময় সবাইকে বলা হয়েছে সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকতে। সেই সঙ্গে সড়ক, নৌ, আকাশ পথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখে সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলা হয়।
এর আগে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসার পর ২৪ মার্চ আরেক ঘোষণায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় সাধারণ ছুটিও ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষের ঘরবন্দি হয়ে পড়ার এই সময়ে ২৫ মাস পর দলীয় কার্যালয় ছেড়ে ঘরে গিয়ে অনেকটা একাকী জীবনযাপন করতে হচ্ছে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে।
“বই পড়ে সময় কাটাচ্ছি। মোবাইলে যোগাযোগ রাখছি। টেলিভিশন এখন অন্যতম সঙ্গী। গতকাল দুঃস্থ ও ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে খাবার দিতে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। এভাবেই সময় কাটছে।”
তিনি বলেন, “মূলত ফোনেই এখন রাজনৈতিক যোগাযোগ করতে হচ্ছে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এখন কিছু করা যায় না। এলাকায় আগে ঘুরতাম, এখন সম্ভব নয়। কোনো সমস্যা হলে নির্দিষ্ট একজনকে পাঠিয়ে দেই। সে সুরক্ষিত হয়ে যায়।”