শনিবার এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।
কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা মনে করছেন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কেই অনেক ভোটার ও এজেন্ট কেন্দ্রে আসেননি।
হাতেগোণা ভোটার যারা এসেছেন, তারাও ইভিএমে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। তবে ইভিএমের বোতামে চাপ দেওয়ার আগে ভোটারদের স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হয়েছে।
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ভোট কেন্দ্রের মোট তিন হাজার ১৮০টি ভোটের মধ্যে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র ৬৪টি।
“সকাল থেকেই ভোটার আসছে না। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণেই ভোটার কম বলে মনে হচ্ছে। নৌকার এজেন্ট ছাড়া কারও কোনো এজেন্টও নেই।”
আর যেসব ভোটার এসেছেন, তারাও আঙুলের ছাপ দিতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানান এই কেন্দ্রের সহকারি প্রিজাডিং কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম হানিফ।
“ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক। তারা আঙুলের ছাপ দিতেও ভয় পাচ্ছে।”
তবে কেন্দ্র অপরিষ্কার থাকায় ভোটারদের উপস্থিতি কম বলে মনে করছেন এই কেন্দ্রের একটি নারী বুথের পোলিং এজেন্ট কাওসার জাহান।
“আমরা আসলে সবসময়ই দেখি, পোলিং বুথগুলো অপরিষ্কার থাকে। এ ধরনের নোংরা পরিবেশে মানুষ ভয়েই ভোট দিতে আসছে না।”
ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে বেলা ১১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ভোট পড়ে মাত্র ২৩টি। এই কেন্দ্রের নয়টি বুথে ভোটার তিন হাজার ৪২২ জন।
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজে ভোট পড়ে ৮১টি, কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার দুই হাজার ৩৯২ জন।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন, “কেন্দ্রে কোনো ঝামেলা নেই, ইভিএম মেশিনও ঠিক আছে। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি খুবই কম।”
কেন্দ্রটিতে নৌকার ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট নেই বলে জানান তিনি।