শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে এই সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
রবি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রার্থী হিসেবে আমি ভোট দিতে পেরেছি, এটা আমার সৌভাগ্য। তবে ঢাক-১০ আসনের ভোটারদের সৌভাগ্য হবে কি না, আমি জানি না।”
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে আতঙ্ক-উদ্বেগের মধ্যে এই উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বিএনপি ভোট স্থগিতের আহ্বান জানালেও তা আমলে নেয়নি ইসি।
ধানের শীষের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে রবি বলেন, “যেখানে আমাদের এজেন্ট ঢুকতে গেছে, সেখানেই আওয়ামী লীগের অনেক লোক জড়ো হয়ে আছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। তারা আমার সই করা পোলিং এজেন্টদের কার্ড কেড়ে নিয়ে তাদের বের করে দিয়েছে।
“যদি বলেন, আমি এই মুহুর্তে ৫০টা কেন্দ্রের নাম বলতে পারব- কেলিস, আইডিয়াল কলেজ, ধামন্ডির এসটিআই, নিউ মার্কেটের সমাজ কল্যাণ, ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি- কোনো জায়গায় আমার কোনো এজেন্ট ঢুকতে পারেনি।”
“আমার সাড়ে ৮শ’ এজেন্টকে বের করে দিয়েছে, আমার ৫০ জন কর্মী আহত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় আছে। এটা সম্পূর্ণ প্রহসন, নির্বাচনের নামে। বন্ধ করে দিন এই নির্বাচন।”
বিএনপির প্রার্থী বলেন, “বাংলাদেশের ভোট ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে, সরকারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ভাবলাম সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, নির্বাচন কমিশন সফল হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য আর কোনো কিছুই হলো না আর কী! আবার একটা ব্যর্থ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।”
তবে নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকার কথাও বলেন রবি।
“এখানে (ধানমণ্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়) আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। শুধু আমি আসব বিধায় তাদেরকে ম্যানেজ করে ঢোকানো হয়েছে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনও ছিলেন রবির সঙ্গে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে গত ২৯ ডিসেম্বর শেখ ফজলে নূর তাপস সংসদ সদস্যপদ ছাড়ায় ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে।