বুধবার ভোরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে তার সাবেক একান্ত সচিব ফকির নাসির উদ্দিন জানান।
গত ৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই হুইপকে ঢাকার অ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন শহীদুল হক জামাল। বিকালেই তার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে ফকির নাসির উদ্দিন জানান।
শহীদুল হক জামাল ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের সময় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের পর আবদুল মান্নান ভুঁইয়ার নেতৃত্বে ‘সংস্কারপন্থিদের’ সঙ্গে থাকায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি সংস্কারপন্থিদের দলের ফেরানোর উদ্যোগ নিলে শহীদুল হক জামালেরও ফেরার সুযোগ হয়। তবে নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের মনোনয়ন পাননি।
শহীদুল হক জামাল অষ্টম ও নবম সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শের মধ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদুল হক জামালের জানাজা হচ্ছে না।
প্রথা অনুযায়ী সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যরা মারা গেলে তাদের জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।
সংসদ সচিবালয় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার কথা জানালেও পরে তা স্থগিতের কথা জানায়।
শহীদুল হক জামালের সাবেক একান্ত সচিব ফকির নাসির উদ্দিন বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ প্লাজার জানাজা স্থগিত করা হয়েছে। বাদ আসর ঢাকা সেনানিবাসের আল্লাহু মসজিদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত। পরে আজিমপুর কবরাস্থানে মায়ের পাশে শায়িত হবেন সৈয়দ শহীদুল হক জামাল।”
তিনি জানান, বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে মরদেহ পৌঁছেছে। রাতে সেনানিবাসের আবাসিক এলাকায় রাখা হবে মরদেহ। বৃহস্পতিবার জানাজা শেষে দাফন করা হবে সাবেক এই হুইপকে।