মানহানির মামলায় খালেদার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির তারিখ নির্ধারণ

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের কারণে মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তারিখ রেখেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2020, 03:14 PM
Updated : 12 March 2020, 03:14 PM

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য তা নির্ধারণ করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সকালে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেন বলে তখন তার আইনজীবী কায়সার কামাল জানিয়েছিলেন।

এই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া

বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আদালত মৌখিক সিদ্ধান্ত রিকল করেন। কেননা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে নথি ছিল না।”

খালেদা জিয়ার পক্ষে তখন আইনজীবী এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন উপস্থিত ছিলেন বলে জানান রাবেয়া।

তিনি বলেন, অবকাশ শেষে ২৯ মার্চ আদালত খোলার এক সপ্তাহ পর হাই কোর্ট এই রুল শুনানির জন্য রেখেছে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, “এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত জামিনে আছেন। আজ রুল শুনানি জন্য ছিল। তবে নথি না থাকায় প্রথমার্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চায়।

“আদালত মৌখিকভাবে স্থায়ী জামিনের কথা জানান। পরে তিনটার দিকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অবকাশ শেষে খোলার এক সপ্তাহ পর রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।”

এ হিসেবে আগামী ২ এপ্রিল বিষয়টি তালিকায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট খালেদাকে এ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় মানহানির অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি করেন জেলার নড়াগাতী থানার চাপাইল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান রায়হান ফারুকী ইমাম।

পরে ২০১৮ সালের ৫ অগাস্ট এ মামলায় নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর হয়। এরপর ওই মামলায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া একই বছরের ৯ অগাস্ট হাই কোর্টে আবেদন করা হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে খালেদা জিয়া দুই বছর ধরে কারাবন্দি। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে। 

আরও খবর