দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করা ‘নৈতিক ও আদর্শিক’ দায়িত্ব: মোশাররফ

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করা ‘নৈতিক ও আদর্শিক’ দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2020, 01:53 PM
Updated : 11 March 2020, 01:53 PM

বুধবার নগরীর কে সি দে রোডে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব সরকার সমাজের অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ শ্রেণির জীবনমান উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর বিশাল অংশকে বিভিন্ন ধরনের ভাতাসহ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে চলেছেন।

“এর ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে। সরকারের সব অর্জন ও সফলতাগুলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীকে বিজয়ী করা আমাদের সবার নৈতিক ও আদর্শিক দায়িত্ব।”

তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের আসন্ন মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরির কোনো অবকাশ নেই। যারা দল করবেন, তাদেরকে দলের সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে হবে।

“মনে রাখতে হবে, ব্যক্তি হিসেবে আমাদের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে। কিন্তু দলীয় ও আদশিক স্বার্থে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থগুলোকে পরিহার করে দলীয় ঐক্যের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে হবে।”

যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিটি এলাকায় মা-বোনদের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান মোশাররফ।      

নগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সায়রা বানু রৌশনীর সভাপতিত্বে ও মমতাজ বেগম রোজীর সঞ্চলনায় সভায় বক্তব্য দেন মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।  

উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর কমিটির প্রচার শফিকুল ইসলাম ফারুক, উত্তর জেলার নেতা জসিম উদ্দীন শাহ প্রমুখ।

এদিকে বুধবার দুপুর থেকে নগরীর ৪ নম্বর চান্দগাঁও, ৫ নম্বর মোহরা এবং ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন রেজাউল করিম চৌধুরী।

এসব গণসংযোগে তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত পরিকল্পিত আধুনিক নগরীতে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে আমি নাগরিকদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি।

“আমি মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সকলের মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে নাগরিক সমাজের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলব।”   

তিনি বলেন, “রাজনীতি কখনও অর্থবিত্ত অর্জনের পথ বা পেশা হতে পারে না। রাজনীতি হতে হবে গণকল্যাণমুখী। এ চেতনাকে ধারণ করে আমি নগরবাসীর কর্তব্যনিষ্ঠ সেবক হতে চাই।

“জাতীয় অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড চট্টগ্রাম। ভুটান, নেপালসহ ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া হলে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় হবে। বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা রূপান্তিত হওয়ার বীজ রোপিত হবে এ চট্টগ্রাম থেকেই।”

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণসহ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে নগরবাসী সাময়িক কষ্ট পেলেও প্রকল্পগুলোর শেষ হলে এর সুফল তারা ভোগ করবেন বলেও মন্তব্য করেন রেজাউল।

প্রচারণায় রেজাউলের সঙ্গে থাকা নগর কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, “সিটি নির্বাচনকে নিয়ে বিএনপি নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এর সমুচিত জবাব ভোটের মাধ্যমে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে।”

প্রচারণায় নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, মহিলা সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন।