ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান খন্দকার মোশাররফের

ইসলামী ঐক্যজোটের কাউন্সিলে গিয়ে ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2020, 03:33 PM
Updated : 5 March 2020, 03:33 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের জাতীয় কাউন্সিল হয়।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আজকে সব দিকে আমরা একটা পোস্টের কাছে জিম্মি। কে জামায়াতে ইসলামী করে, কে চরমোনাই করে, কে শফী সাহেবের হেফাজত করে, কে ইসলামী ঐক্যজোট করে।

“আমার বিশ্বাস এদেশের মুসলমানদের ঈমান-আকিদা এবং আমাদের অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ।”

বিএনপি নেতা বলেন, “ইসলামী ঐক্যজোট বহুদিন যাবত আমাদের সাথে কাজ করছে, আমি তাদের কাজের প্রশংসা করি।

“এই কাজকে আরও শক্তিশালী করে এই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধার, মানুষের ঈমান-আকিদা রক্ষার জন্য আপনারা সকলে একসঙ্গে কাজ করবেন। আপনাদের সাথে আমরা থাকব।”

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন ঢাকা সফর ‘পূনর্বিবেচনা’ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, “ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন, আমরা ওয়েলকাম করি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসবে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যাবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক।

“কিন্তু কখন আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? যখন ভারতে হিন্দুদের দ্বারা মুসলমানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, যখন বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করছে।

“ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা করা উচিৎ যে তৌহিদী জনতা আমার বাংলাদেশ সফরকে সমর্থন করছে না, সেখানে আমি কেন যাই?”

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ মার্চ মোদী ঢাকা সফরে আসছেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের কাউন্সিলে মাওলানা আবদুর রকিবকে চেয়ারম্যান ও মাওলানা আবদুল করিম খানকে মহাসচিব পদে পুনঃনির্বাচিত করে ৬১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আবদুর রকিবের সভাপতিত্বে কেউন্সিলে ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান মাওলানা আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম খান, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ আলম চৌধুরী, সৈয়দ মুহা. আহসান, শওকত আমিন, উবায়দুর রহমান খান নদভী, মো. ইলিয়াস আতাহারী, আনোয়ার হোসাইন আনসারী, আনম রহিম উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

‘ফরমায়েসী রায় দিচ্ছে আদালত’

গত মঙ্গলবার পিরোজপুরের আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম এ আউয়ালকে কারাগারে পাঠানো বিচারক বদলের পর জামিন দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকারের হস্তক্ষেপে আদালতগুলো ‘ফরমায়েসী রায়’ দিচ্ছে।

“আজকে সরকারের যে ফরমায়েস, সেই ফরমায়েসী রায় দিচ্ছে আদালতগুলো। সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুর আদালতে। আমাদের বিএনপি, জামায়াত বা যে কারও বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জেলে। একই নিয়মে জজ জামিন বাতিল করে জেলে পাঠিয়েছিলেন।

“চিন্তা করেন কীভাবে যোগাযোগ হয়েছিল ঢাকার সাথে, আইন মন্ত্রণালয়ের সাথে, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বদলি করে দিয়ে ওই জেলা জজ পরে যে এডিশনাল জেলা জজ তাকে দিয়ে ওই দুইকে জামিন দেওয়া হয়েছে।”

“আজকে বিচার বিভাগ শেষ আশ্রয়স্থলের কাছে গিয়েও এই দেশের মানুষের বিচার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই,” বলেন খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, “তারা (সরকার) শুধু নিজের স্বার্থে যা ইচ্ছা তাই করবে, দেশের মানুষ মুখ বুঝে সহ্য করবে-এটা বেশি দিন চলতে পারে না।”