বিতর্কিতদের দলে নেওয়া যাবে না: কাদের

আওয়ামী লীগের নতুন প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং সদস্য নবায়নের কার্যক্রমে বিতর্কিত কাউকে অন্তর্ভুক্ত না করতে বলেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2020, 07:26 PM
Updated : 4 March 2020, 07:26 PM

বর্তমানে দলের প্রাথমিক সদস্য আছেন এমন ব্যক্তি যদি বিতর্কিত হন, তাহলেও সদস্যপদ হারাবেন বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনোকাণ্ডের পর যুব মহিলা লীগের শামীমা নূর পাপিয়ার কর্মকোণ্ডে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে বুধবার জেলার নেতাদের সদস্য সংগ্রহের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন কাদের।

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ও বিতর্কিতদের বাদ দেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এরই মধ্যে আমরা জেলা পর্যায়ে এই নির্দশনা পাঠিয়েছি, যাতে কোনো বিতর্কিত কেউ প্রাথমিক সদস্য হতে না পারে।

“আমাদের নতুন সদস্য সংগ্রহ বা নবায়ন কার্যক্রমে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পরিহার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভুমিদখলকারী মাদকব্যবসায়ী, স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি এরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না।”

আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য কাউকে নিয়ে বিতর্ক থাকলে তাদেরও সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “বিতর্কমুক্তদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হবে।”

‘মুজিব বর্ষে’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আসা নিয়ে বিএনপির বিরোধিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে অবদান তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকতেই হবে। নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রতিনিধি হিসেবেই আসবেন।

“ভারত আমাদের বন্ধু। এখানে দাসত্বের কোনো বিষয় নেই। বিএনপি ক্ষমতার জন্য দাসত্বের জন্য প্রস্তুত। তার প্রমাণ হল, এই নরেন্দ্র মোদী যখন নির্বাচিত হলেন ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের অফিস খোলার আগেই বিএনপির প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন ফুল নিয়ে। এখন তাদের লজ্জা করে না নরেন্দ্র মোদী বিরোধিতা করতে?”

নতুন সদস্য সংগ্রহের বই জেলার নেতাদের হাতে দেওয়ার পাশাপাশি দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্রও দেওয়া হয়।

কাদের বলেন, “সম্মেলন শেষ হওয়ার পরপরই এই কাজটি দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আজ থেকে যাত্রা শুরু করলাম। সারা দেশের পর্যায়ক্রমে জেলাগুলো সংগ্রহ করবে। তারপর জেলার অনুমতি নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে সদস্য সংগ্রহের বই এবং ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করবে।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসরাম আমিন, উপ দপ্তর সায়েম খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।