বুধবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “হল-মার্কের ঘটনার পর ঋণ দেওয়ার বিষয়ে অনেক ভীতি কাজ করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ভয়ভীতি ও সংকোচ সরিয়ে ঋণ সরবরাহ বাড়াতে হবে।”
২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে ঋণ সরবরাহের গতি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “উৎপাদন খাতের শিল্পগুলোতে ঠিকমোত ঋণের যোগান দিতে না পারলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে কীভাবে?”
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।
গত কয়েক বছরে সোনালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে মন্তব্য করে গভর্নর বলেন, ২০১৮ সালে খেলাপী ঋণের হার যেখানে মোট ঋণের ৫০ শতাংশের ওপরে ছিল, ২০১৯ সালে তা ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। মূলধন স্বল্পতা কমে এসেছে। অন্যান্য সূচকও ‘আশাব্যঞ্জক’।
২০১৮ সালে দেশের ব্যাংক খাত থেকে বিতরণ হওয়া ১১ লাখ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৯৪ হাজার কোটি টাকার মন্দ ঋণ ‘অস্বাভাবিক নয়’ বললেও একক খাতে বড় অংকের ঋণ না দিতে ব্যাংকারদের সর্তক করেন ফজলে কবির। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ আদায়ের গতি বাড়ানোরও তাগিদ দেন তিনি।
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। এখন তার কন্যার নেতৃত্ব দেশকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধানের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীও বক্তব্য দেন।
আসাদুল ইসলাম ব্যাংকারদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা অনেক সার্ভিস দিচ্ছেন, তার বিপরীতে চার্জ নিচ্ছেন- তা একেবারে অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। আপনাদের এই সেবার বিপরীতে কোনো টাকা দেওয়া যায় কিনা, সেটা সরকার সক্রিয় বিবেচনায় আছে।”