বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ পিরোজপুরের ঘটনায়: ফখরুল

সকালে কারাগারে পাঠানো পিরোজপুরের সরকারদলীয় এক সাবেক সাংসদ ও তার স্ত্রীকে বিচারক বদলের পর বিকালেই জামিন দেওয়ায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2020, 07:18 AM
Updated : 4 March 2020, 07:25 AM

তিনি বলেছেন, পিরোজপুরের ঘটনাই প্রমাণ করে দেশের বিচার বিভাগ সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে।

বুধবার সকালে আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে নয়া পল্টনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের সাবেক সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান।

আদেশের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও আইনজীবীদের বিক্ষোভের মধ্যে বিচারক মো. আব্দুল মান্নানের বদলির আদেশ আসে এবং তিনি তার দায়িত্ব দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ নাহিদ নাসরিনকে হস্তান্তর করেন।

পরে আসামিপক্ষ আগের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে বিকালে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন আবেদন মঞ্জুর করে দুইজনকে দুই মাসের জামিন দেন।

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা যে কথাটা সবসময় বলছি, বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার, এটাই তার প্রমাণ। কারণ পিরোজপুর আওয়ামী লীগের সভাপতিকে যখন দুদকের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় ভেতরে বা কাস্টডিতে নিতে বলেছেন আদালত, তখন যে অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে, বাধ্য করা হয়েছে আদালতকে কয়েক ঘণ্টা পরে জামিন দিতে।

“এই ঘটনা প্রমাণ করে এদেশে আইনের শাসন নেই। এখানে বিচার বিভাগ যে স্বাধীন নয় সেটা আরেকবার উলঙ্গভাবে প্রমাণিত হল।”

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “উনি যে কথাগুলো বলেন, সেগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিতে চাই না। মুজিব বর্ষের সঙ্গে মোদী(নরেন্দ্র মোদী) সাহেবের আসার সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক এটা যে তিনি এই মুজিব বর্ষেই আসছেন।”

‘‘ আমরা যে কথাটা বলছি যে, তার( নরেন্দ্র মোদী) দেশে যেভাবে এনআরসিকে নিয়ে যে একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে সে বিষয়েই আমরা কথা বলছি।বাংলাদেশ সমস্ত রাজনৈতিক দল, সেক্টারগুলো তারা এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং তারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার প্রেক্ষিতে তার এই সময়ে আসাটা কতটুকু শোভন সেটাই আমরা প্রশ্ন রেখেছি।’’

এ সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরহাদ হোসেন আজাদ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।