অনুমতি মেলেনি, স্থগিত হল বিএনপির সমাবেশ

অনুমতি না দেওয়ায় পাশাপাশি পুলিশ অবস্থান নেওয়ায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Feb 2020, 06:04 AM
Updated : 29 Feb 2020, 07:18 AM

দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এর পরিবর্তে রোববার ঢাকা মহানগরীতে থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

একই সঙ্গে বিদ্যুৎ-ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে মানববন্ধনের আলাদা কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সকালে নয়া পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নতুন দুই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের আদেশের প্রতিবাদে আজকে ঢাকার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য আমরা পুলিশের কাছে অনুমতি দিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম।

“তারা কোনো জবাব দেয়নি। সকাল থেকে অফিসের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। নেতা-কর্মী কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। পুলিশের বাধার প্রতিবাদে আমরা রোববার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করব।”

ঢাকায় শনিবারের সমাবেশ স্থগিত হলেও সারাদেশে বিক্ষোভ হবে বলে জানান তিনি।

শনিবার সকাল থেকেই নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ। ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়া পল্টনের কার্যালয়ে ঢোকেন।

দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ দেখে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই স্বৈরতান্ত্রিক ও জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন সরকার জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

“তারই ধারাবাহিকতায় তারা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না, র‌্যালি করতে অনুমতি দেয় না। এটা এখন একটি গতানুগতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে দমিয়ে রেখে এরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়।”

খালেদা জিয়ার মুক্তির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এত অসুস্থ, তারপরেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি, জনগণকে সংগঠিত করে দেশনেত্রীকে ফিরিয়ে আনবার জন্য।”

পুলিশের অনুমতি না পেলেও সমাবেশের ঘোষণা একবার বিএনপি দিয়েছিল। তা তুলে ধরলে ফখরুল বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব করার, স্পেসগুলোকে নিয়ে চেষ্টা করছি।”

সকাল সাড়ে ১১টায় ফখরুল নয়া পল্টনের কার্যালয়ে ঢোকার সময় ফটকের সামনেই দাঁড়িয়েছিল পুলিশ। বিএনপি মহাসচিব পুলিশকে ফটক ছেড়ে যেতে বলার পর তারা একটু দূরে সরে যায়।

তারপরই সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিজভী।

রিজভী বলেন, বিদ্যুৎ ও ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন উপস্থিত ছিলেন।