অপকর্মে যুব মহিলা লীগের কারা, খোঁজ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউর অপকর্মের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সারা দেশে এই সংগঠনের আর কারা অপকর্মে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2020, 02:53 PM
Updated : 4 March 2020, 03:56 PM

নরসিংদী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়াকে নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।

যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়া ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুইট ভাড়া নিয়ে তরুণীদের দিয়ে যৌন বাণিজ্য করে কোটি টাকার উপরে বিল পরিশোধ করতেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য

সাক্ষাতের পর নাজমা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা দেশে যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের খোঁজ নিতে। কারা কারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে।

“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এছাড়া গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”

মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল ও হোটেলে নারীদের দিয়ে যৌন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে শনিবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন ওরফে সুমন চৌধুরী এবং তাদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার হেফাজত থেকে অস্ত্র, মদ ও ৫৮ লাখের বেশি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব

র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের ‘প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট’ ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটি টাকার উপরে।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাপিয়াকে এরইমধ্যে বহিষ্কার করেছে যুব মহিলা লীগ। কারা পাপিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।

যুব মহিলা লীগের এই নেত্রী ধরা পড়ার আগে ধরা হয়েছিল যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনার প্রমাণ পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনায় যুবলীগের ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্মেলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির শীর্ষ পদ হারান ওমর ফারুক চৌধুরী।

এখন যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন ফজলে শামস পরশ, যিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।