বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি না নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কোনো ম্যুরাল যাতে তৈরি করা না হয়, সে দিকেও তিনি খেয়াল রাখতে বলেছেন।
মঙ্গলবার রাতে সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা আসে বলে একাধিক সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
চলতি সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হওয়ার পর সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে এ সভা হয়। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এ বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, মাজহারুল হক প্রধান, আ স ম ফিরোজ, ছোট মনির, মৃনাল কান্তি দাস বক্তব্য দেন।
বৈঠকে উপস্থিত সাবেক একজন মন্ত্রী বলেন, “মুজিববর্ষ পালন করতে গিয়ে সংসদ সদস্যদের অতিরঞ্জিত কিছু না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কী অবস্থায় আমাদের চলতে হয়েছে। ওই সময় অনেকের ভূমিকা আমি জানি’।… এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেন।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শত বছর পূর্ণ হচ্ছে আসছে ১৭ মার্চ। আর আগামী বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে যাতে যথেচ্ছভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরি করা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তাগিদ দেন বলে জানান ওই সাবেক মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ ম্যুরাল করতে চাইলে যেন ট্রাস্টের অনুমতি নিয়ে করে। অনুমতি ছাড়া যত্রযত্র যেন ম্যুরাল তৈরি করা না হয়।”
সংসদ অধিবেশনে জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে জানান একজন সংসদ সদস্য।
রাজশাহী বিভাগের ওই সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদ নেতা ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, ‘তারা সংসদে নিয়মিত না থাকলে তাদের চেয়ারগুলো যেন দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়’। তিনি আরও বলেন, অধিবেশন চললে তিনি নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই থাকেন না। টেলিভিশনে ওই চেয়ারগুলো ফাঁকা দেখা যায়। এতে সংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।“
জরুরি কোনো প্রয়োজন না থাকলে অধিবেশন চলাকালে সবাই যেন উপস্থিত থাকে- প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশনা দেন বলে জানান ওই সংসদ সদস্য।