ভোট ডাকাতি করতে চট্টগ্রামেও ইভিএম: রিজভী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2020, 12:52 PM
Updated : 17 Feb 2020, 12:55 PM

সোমবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এ কথা বলেন।

ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান জানিয়ে রিজভী বলেন, “ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটাররা ইভিএম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ডিজিটাল কারচুপির এই যন্ত্র ব্যবহার করার আবারও ঘোষণা দিয়েছে।

“তার মানে ঢাকার মতো একই কায়দায় চট্টগ্রামে ভোট ডাকাতির সুযোগ তৈরির জন্য এটা করা হচ্ছে। সিইসির এই সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই।”

জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে কমিশনের কাছে বিধিমালা দাবি করে তিনি বলেন, “খারাপ মানুষ যাতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে না পারেন এজন্য নির্বাচন কমিশনের উচিত সময়োপযোগী আইন ও বিধি তৈরি করা এবং নির্বাচনের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে জনগণ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে।

“সিইসি সেটি না করে সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ ইভিএম নিয়ে দেশে হেড মাস্টার সেজেছেন।”

ঢাকা সিটি নির্বাচনে অনুপস্থিতির মধ্যে দিয়ে ভোটাররা সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

‘খালেদাকে নিয়ে নেতাকর্মীরা চুপ নয়’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে কবির রিজভী বলেন, “আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে এসেছি।

“তার মুক্তির জন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম, যে যার অবস্থান থেকে দলীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সারা দেশে অব্যাহত আছে। কোনোদিনও কোনো নেতাকর্মী এ ব্যাপারে নিশ্চুপ নয়।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তার স্বাস্থ্যের যে শোচনীয় অবস্থা, আমরা আপনাদেরকে বার বার অবগত করেছি। আমরা এই মুহূর্তে তার মুক্তির দাবি করছি।”

প্যারোলের আবেদন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ”এই বিষয়ে আমরা অবগত নই। আমরা পরিবারের সাথে এখনও এ নিয়ে আলোচনা করিনি।”

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।