রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ফোনালাপের প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের কোনো জবাব পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, “উনি (ওবায়দুল কাদের) কি বলেছেন- এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনাকে বললে বেটার হবে।”
খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ট্রিটমেন্টের জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে তার পরিবার থেকেই আবেদন জানানো হয়েছে।
“সরকারের এখন আর এগুলো নিয়ে বা অন্য কারো এগুলো নিয়ে অন্য কোনো রাজনীতি না করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের কথা পরিষ্কার, ম্যাডামের মুক্তির দাবিটা নিয়ে আজকে নয়, গত দুই বছর ধরেই আমরা কোর্টে যাচ্ছি, কথা বলছি, রাস্তায় নামছি, চিৎকার করছি। সারা দেশবাসী এই মুহূর্তে ম্যাডামের মুক্তির দাবি করছে।
“একই সঙ্গে আজকে তার (খালে জিয়া) পরিবারও করছে। কয়েকদিন আগেই তারা (পরিবার) লিখিতভাবে বিএসএমএমইউয়ের ভাইস চ্যান্সলরকে ‘অ্যাডভান্স টিট্রমেন্টের’ জন্য তারা চিঠি দিয়েছেন। আর বাকি প্রশ্নগুলো সব অবান্তর থাকে, এগুলো আর প্রশ্ন থাকে না।”
এর আগে দুপুরে ধানমণ্ডিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। পরে বিএনপিপ্রধানের মুক্তির জন্য মহাসচিবের মৌখিক আবেদন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন।
খালেদার জামিন চেয়ে ‘আবার আবেদন’
বৈঠকের পর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আগামী সাপ্তাহে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তারা আবার আবেদন করবেন।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, হাই কোর্ট দেশের জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। দেশবাসীকে হাই কোর্ট অন্তত এমন একটি ইঙ্গিত দেবেন যে, না দেশে বিচার ব্যবস্থা আছে।
“সেখানে আমরা এবার আবেদন যদি করি অবশ্যই আমরা জামিন লাভ করব।”
কবে নাগাদ জামিন আবেদন করবেন জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জামির উদ্দিন সরকার বলেন, “সিনিয়র লইয়ার্সের সঙ্গে আলাপ করে অ্যাজ আরলি অ্যাজ পসিবল- মে বি নেকস্ট উইক, উইক আফটার আমরা আবেদন করব।”
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে জাতীয় স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র আইনজীবীদের এই বৈঠক হয়।
লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, ফজলুর রহমান, মাহবুবউদ্দিন খোকন ও কায়সার কামালও ছিলেন।