সরকারকেই এই উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে এই হেফাজতে ইসলাম ও মওদুদিবাদীদের সঙ্গে সরকার বাহাসের ব্যবস্থা করে দিক। বাহাসের ব্যবস্থা হলে বাহাসের পর থেকে ধর্ম নিয়ে আর কোনো বিবেধ থাকবে না।”
মাজারকেন্দ্রিক ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ‘অপপ্রচারের’ জবাব দিতে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মাইজভাণ্ডারী।
তিনি দাবি করেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উলামাদের যুক্তিতর্কে শাহ আহমদ শফীসহ হেফাজত নেতারা পরাস্ত হবেন।
মাজারের বিরুদ্ধে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত থাকলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও তরীকত ফেডারেশন আইনের আশ্রয় নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন মাইজভাণ্ডারী।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি সামনে রেখে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা হেফাজতে ইসলাম ও মওদুদিবাদীদের এসব বক্তব্য মেনে নিতে পারি না।
সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী দলের নেতা মাইজভাণ্ডারী বলেন, “শাহজালাল, শাহপরান মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে থাকে। আবার হেফাজতে ইসলামসহ মওদুদিবাদীরা বলে শাহজালালের মাজারের লাথি মারতে। নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয়।
“এইসব বক্তব্যের দিকে সরকারের চোখ নেই। তাদের এসকল বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এদের বিচারের আওতায় আনা হয় না, বরং তাদের দিকে টান আরও বেশি।”
‘হেফাজত মওদুদীদের প্রতি এত টান থাকলে’ ভবিষ্যতে ভোটের আগে শাহজালালের মাজারে না গিয়ে কোনো কওমি মাদ্রাসা থেকে দোয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরুর পরামর্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. আব্দুল করিম সিরাজ নগরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব আবুল কাশেম নুরী, তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তৈয়বুল বশর মাইজভাণ্ডারী, যুগ্ম যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।