এত উন্নয়নের পরও ভোটাররা কেন এল না: নাসিম

সরকারের এত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পর ভোট দিতে জনগণের অনীহা কেন, তা খুঁজে বের করার উপর জোর দিচ্ছেন ১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2020, 01:15 PM
Updated : 9 Feb 2020, 01:15 PM

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার খরার দিকটি রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তোলেন তিনি।

নাসিম বলেন, “এত উন্নয়নের পরে, এত সফলতার পরেও ভোট দিতে ভোটারদের কেন অনীহা হচ্ছে। কেন মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে না? আত্ম উপলব্ধি করার সময় এসে গেছে আমাদের।”

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতলেও কোনোটিতেই ভোটের হার ৩০ শতাংশ ছাড়ায়নি, যা উদ্বেগের বলছেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।

নাসিম বলেন, “আমরা এখন আর বিএনপি-জামায়াত শক্তিকে ভয় পাই না। ওদের কী শক্তি আছে, আমরা তা জেনে গেছি। আমি শুধু ভয় পাই, মানুষ কেন ঘর থেকে বেরিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে না।

“আমাদের ভুল নাই, তা বলবো না। ভুল ত্রুটি অবশ্যই আছে। সব সরকারের ভুল আছে, আমাদেরও ভুল আছে। আমি বলতে চাই, কেন মানুষ আজকে অনীহা প্রকাশ করছে। ঢাকা শহরে নিশ্চয়ই কোনো গলদ আছে।”

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে নাসিম বলেন, “চক্রান্তকারীরা কিন্তু বসে নেই। তারা আবার চক্রান্ত করছে। যে কোনো সময় ছোবল মারতে পারে। এজন্য আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।”

ঢাকার নতুন মেয়রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ঢাকা শহরকে মশা মুক্ত করতে হবে। ঢাকা শহরকে সুন্দর শহরে পরিণত করতে হবে।

“ঢাকা শহর দূষিত শহর, কেন শুনব এই কথা? এই কাজ আপনাদেরকে করতে হবে। দয়া করে আপনারা এখন থেকে কাজ শুরু করেন। না হলে আমাদের ওয়াদাগুলো মানুষ কিন্তু ভালোভাবে গ্রহণ করবে না। এর জবাব কিন্তু জনগণ দিয়ে দিবে।”

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, “খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের ব্যর্থতার কারণে তার জামিন হচ্ছে না। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তারা বারবার সরকারকে দোষারোপ করছে। আশা করব, আইনজীবীরা তাদের লড়াই চালিয়ে যাবেন, এতে হয়ত খালেদা জিয়ার জামিন হবে।”

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমাম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানাও বক্তব্য রাখেন।