খালেদার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে ‘যোগাযোগ করেছে’ বিএনপি

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ‘সব প্রক্রিয়ায়’ চেষ্টা চলছে জানিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তার চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও দলের নেতাদের যোগাযোগ হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2020, 08:32 AM
Updated : 9 Feb 2020, 05:42 PM

দুর্নীতিতে দণ্ডিত হয়ে দুই বছর ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে বিএনপি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৪ বছর বয়সী খালেদা এখন অন্যের সহযোগিতা ছাড়া হাঁটা-চলা, এমনকি খেতেও পারেন না বলে দলটির নেতাদের ভাষ্য। আর পরিবার বলছে, এভাবে চলতে বেশি দিন পর আর বিএনপি নেত্রীকে জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে নিতে পারবেন না তারা।  

এতদিনেও খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়ার জন্য দলটির শীর্ষ নেতাদের দুষছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে রোববার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের এক সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আমরা বলতে চাই, জোটনেত্রীর মুক্তির জন্য সব প্রক্রিয়াই চেষ্টা চলছে।

“আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা তার মুক্তির চেষ্টা করেছি। প্রশাসন চাইলেই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু করছে না। সে ব্যাপারে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কথা বলেছি। আন্দোলনের বিভিন্ন প্রোগ্রামও হয়েছে।”

আগামীতে যে প্রক্রিয়ায়, যেভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব সেটাই হবে জানিয়ে এই ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, “২০ দলীয় জোট সেই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকবে।”

বিএনপি নেত্রীর মুক্তি দাবিতে ২০ দলীয় জোট আলোচনা করে কর্মসূচি দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জানি তিনি কোনো অপরাধ করেন নাই। কাজেই অপরাধ থেকে কোনো মুক্তি চাই না আমরা। মানবিক ও গণতান্ত্রিক আচরণ আমরা নিশ্চয়ই চাই। আর সেই আচরণ না হলে জনগণ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এই দৃষ্টান্ত তো সারা দুনিয়ায় আছে।

“আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে চাই এবং গণতন্ত্রের পথেই আমরা গণতন্ত্রের নেত্রীকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা অবশ্যই পূরণ হবে।”

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা সবাই জানি, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে সরকার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নাকি এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন। অথচ সেই দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা এখন প্রায় আট কোটি টাকা হয়ে গেছে। সেখান থেকে এক পয়সাও তসরুপের প্রমাণ আদালতে হয় নাই। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে বিচার বিভাগকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পরিচালনায় সমাবেশে জোটের শরিক দলের নেতারা বক্তব্য দেন।