উন্নত ঢাকা গড়ার রূপরেখা সাদরে গ্রহণ করায় নৌকার পক্ষে নগরবাসী তাদের রায় দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।
Published : 01 Feb 2020, 05:05 PM
তবে আরো বেশি ভোটার উপস্থিতি আশা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকালে ভোটগ্রহণ শেষে গ্রিন রোডে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাপস ।
ভোটর উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “আমরা গণসংযোগে যখন গিয়েছি আশা করেছিলাম যে আরো ভোটার উপস্থিতি থাকবে। কারণ যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছিলাম এবং আশা করেছিলাম সকলে এসে ভোট দেবে। তবুও যারা ভোট দিতে এসেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
“একবছর আগেই একটা জাতীয় নির্বাচন হল। ওই নির্বাচনে সবার আগ্রহ থাকে। এখানে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনো বিষয় নেই আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন, এজন্য আগ্রহ কম হতে পারে। আবার ছুটির সময়ে অনেকে ঢাকা ও দেশের বাইরে যেতে পারেন। তবুও সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ ভোট হতে পারে, যেমনটা আমি দেখেছি।”
ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে তিনি সুষ্ঠু ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানান।
“ঢাকাবাসীকেও ধন্যবাদ জানাব তারা অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আমি আশাবাদী আমরা উন্নত ঢাকা গড়ার যে রূপরেখা দিয়েছি সেটা ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে এবং তারই প্রতিফলন হিসেবে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে তারা সেবক হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবে।”
নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুব সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। আমরা কিছুটা আশঙ্কা করেছিলাম যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হতে পারে, সহিংস ঘটনা ঘটতে পারে। একদমই সহিংস ঘটনা ঘটেনি। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছাড়াই একটি সুন্দর, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য সকল সংস্থাকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
কয়েকটি জায়গায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে সমস্যার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শেখ তাপস বলেন, “সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণে ১১৫০টি কেন্দ্র এবং প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বুথে এটা ব্যবহার করা হয়েছে। এটি খুবই সহজ পদ্ধতি ভোট দেয়ার। আমি নিজেও প্রথম দিলাম, খুবই ভালো লেগেছে। কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। যেহেতু এটি যান্ত্রিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি যন্ত্র সেখানে অনেক সময় হ্যাং হয়ে যায়। এ কারণে অনেকে সঠিক সময়ে ভোট প্রদান করতে পারেনি।
“এরকম কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে এটার ভালো দিকও রয়েছে। কারণ ভোটার শনাক্তকরণের বিষয়টি খুব ভালো। এখানে জাল ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে অনেক সময়। ইভিএমে এমন কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং এটা ভালো।”
কেন্দ্র দখল, এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ অমূলক বলে মন্তব্য করেন এই মেয়র প্রার্থী।
“তাদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে সব জায়গায় হয়তো এজেন্ট দিতে পারেনি। কেন্দ্র দখলসহ তারা যেসব অভিযোগ করছে সেগুলো সত্য নয়। এসব অভিযোগ অমূলক।
“আমি এতটুকু বলতে পারি অভিযোগে তাদের ঝুড়ি ভরে গেছে সম্ভবত। কারণ আমরা নির্বাচন যেদিন থেকে আরম্ভ করেছি সেদিন থেকে অভিযোগ আর অভিযোগ করে আসছে। উনারা সহিংস ঘটনা ঘটালেন, আমাদের দু’জন কাউন্সিলরকে আক্রমণ করলেন। তারা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে চলেছেন। এখনো করছেন। তবে নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে অভিযোগের তালিকাও সম্পন্ন হল মনে হচ্ছে।”
দায়িত্ব পেলে ঢাকাবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পালনের কথা জানান ফজলে নূর তাপস।