‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট শেষে ফলের অপেক্ষা ঢাকায়

বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ, দৃশ্যত কম ভোটারের উপস্থিতি এবং বয়স্কদের আঙুলের ছাপ মেলানোয় দুর্ভোগের মধ্যেও ‘অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে’ শেষ হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2020, 11:30 AM
Updated : 1 Feb 2020, 12:00 PM

শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। সম্পূর্ণ ইভিএমে গ্রহণ করা ভোটে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

ইভিএমের ভোটে পরিচয় শনাক্ত করতে গিয়ে আঙ্গুল ছাপ মেলাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সিইসি কে এম নূরুল হুদা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অনেককে।

কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া অভিযোগ করেছেন দুই সিটি করপোরেশনে বিএনপির দুই প্রার্থীসহ দলটির নেতারা; কেন্দ্রে বিরোধীদের এজেন্ট না পাওয়ার কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও।

তবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নেতারা বলছেন, পোলিং এজেন্ট দিয়ে উল্টো অভিযোগ করছে বিএনপি। এটাকে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল হিসাবে অভিহিত করেছেন তারা।

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশা ঝরেছে সিইসি নুরুল হুদার কণ্ঠে; বেলা বাড়লে ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা তিনি করলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলেনি।

বেলা ১১টার পর উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটার উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো না। দেখলাম ২৭৬ জন ভোটার এসেছেন। এখন সকাল। বেলা বাড়ার সঙ্গে নিশ্চয়ই আসবে।”

ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, “পরে আসবে। ভোটার আসবে। সেটা প্রার্থী, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতির কোনো কমতি নেই।”

গ্রিনরোড স্টাফ কোয়ার্টারের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে কিনা-তা দেখার বিষয়। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকলে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে তাহলে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাচ্ছি “

তার মতে, ভোট পড়ার হার যা হোক না কেন, সেটা যদি প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকলে এটাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

মগবাজারের ইস্পাহানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, “এ কেন্দ্রে অনেক বুথ রয়েছে। এখানে বিরোধী দলের কোনো এজেন্ট দেখতে পাইনি।”

# ভোটার: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩, দক্ষিণ সিটিতে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪।

# প্রার্থী: ঢাকা উত্তরে একটি মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১৮টি পদে ৭৭ জন লড়ছেন।

ঢাকা দক্ষিণে একটি মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩২৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রার্থী।

# ভোট কোথায়: ঢাকা উত্তরে ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের ৭ হাজার ৮৪৬টি ভোট কক্ষে এবং দক্ষিণে ১ হাজার ১৫০টি কেন্দ্রের ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ হবে

# নিরাপত্তা: ভোটের নিরাপত্তায় আগের দিন থেকেই মাঠে নেমেছেন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য।

বরাবরের মতই এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ১৩ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে।

ঢাকা উত্তরে গত নয় মাস মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আতিকুল ইসলাম এবারও আওয়ামী লীগের নৌকার টিকেটে লড়েছেন। আর দক্ষিণে সিটিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এবার ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ ফজলে নূর তাপস, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে।

অন্যদিকে উত্তরে বিএনপির প্রার্থী বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল, যিনি ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের আনিসুল হকের কাছে হেরেছিলেন। আর দক্ষিণ সিটিতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন রাজনীতিতে নবীন; তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে।

মেয়র পদে তাপস-ইশরাকের সঙ্গে দক্ষিণ সিটিতে আরও পাঁচজন এবং আতিক-তাবিথের সঙ্গে উত্তর সিটিতে আরও চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

মেয়র পদে যারা

ঢাকা উত্তর সিটি

 

 

 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি

 

 

প্রার্থী

দল

প্রতীক

 

প্রার্থী

দল

প্রতীক

আতিকুল ইসলাম

আওয়ামী লীগ

নৌকা

 

শেখ ফজলে নূর তাপস

আওয়ামী লীগ

নৌকা

তাবিথ আউয়াল

বিএনপি

ধানের শীষ

 

ইশরাক হোসেন

বিএনপি

ধানের শীষ

আহম্মেদ সাজেদুল হক রুবেল

সিপিবি

কাস্তে

 

সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন

জাতীয় পার্টি

লাঙ্গল

শেখ ফজলে বারী মাসউদ

ইসলামী আন্দোলন

হাতপাখা

 

আব্দুর রহমান

ইসলামী আন্দোলন

হাতপাখা

আনিসুর রহমান দেওয়ান

এনপিপি

আম

 

বাহারানে সুলতান বাহার

এনপিপি

আম

শাহীন খান

পিডিপি

বাঘ

 

আব্দুস সামাদ সুজন

গণফ্রন্ট

মাছ

 

 

 

 

আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ

বাংলাদেশ কংগ্রেস

ডাব

ভোটে যা হল

সকালে ধানমণ্ডির সিটি কলেজ কেন্দ্রের প্রথম ভোট দিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষক তালিকায় বাংলাদেশিদের রাখায় দূতাবাসগুলোর কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ইভিএমে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরকার প্রধান বলেন, “একটা কাজ তারা ঠিক করেনি। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে বাংলাদেশি নাগরিক যারা চাকরি করে, তাদেরকে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে। তারা বিদেশি হয় কি করে? পর্যবেক্ষক হয় কি করে? ওখানে তারা চাকরি করে তাদেরকে তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠায় কি করে। এটা সঠিক কাজ তারা করেননি।”

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আর নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সঠিক কাজ তারা করেনি। নির্বাচন কমিশন এটা কীভাবে গ্রহণ করল? আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বিদেশি পর্যবেক্ষক মানে বিদেশি হতে হবে। দেশের নাগরিক, কীভাবে তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছে তা আমি জানি না। এটা তারা গ্রহণ করে ঠিক করেনি।”

ইভিএমে ভোট দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইভিএম মানে ডিজিটাল পদ্ধতি। যার যার ভোট স্বাধীনভাবে দিতে পারবে। এই যে আমি দিলাম।…ইভিএমের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে অত্যন্ত সহজে ভোট দিলাম। আমি মনে করি, সমগ্র বাংলাদেশে এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন আমাদের নির্বাচন কমিশন।”

টানা ৮ ঘণ্টার নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে ঘুরে বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেশিরভাগ কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক বিচরণ দেখা যায়।  

বাসাবো, কামরাঙ্গীরচর, কদমতলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গোপন বুথে ঢুকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ভোট দিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ব্রাদার্স ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলসহ কিছু এলাকায় ভোটারদের বাধা দেওয়া এবং কয়েকজন ভোটারকে মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাফরাবাদ এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া ইন্টারনেটভিত্তিক নিউজ পোর্টাল আগামীর কর্মী মুস্তাফিজুর রহমান সুমনকে হামলা করেছেন এক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির শতাধিক ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের মেয়রপ্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে দক্ষিণে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মনিটরিং সেল।

সকালে বাড্ডা, লালমাটিয়া মহিলা কলেজে, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরের দুই কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

লালমাটিয়ার একটি ভোটকেন্দ্রে জাতীয় পার্টি সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রার্থী ডেইজি সারওয়ার।

উত্তরে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথের পক্ষ থেকে ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া, বিএনপির ভোটারদের বাধাদান এবং ইভিএম হ্যাক করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।

তবে বিএনপি প্রার্থীর এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। দুপুরের আগে উত্তরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, “তাদেরকে বলব, পোলিং এজেন্টদের পাঠান। পোলিং এজেন্টদের না পাঠিয়ে বললে হবে না।”

অন্যদিকে, দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “তাদের সাংগঠনিক শক্তি নেয়, সামর্থ্য নেই যে, এজেন্ট দিতে পারে। এজেন্ট দিতে না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।”

আঙুলের ছাপ বিড়ম্বনা

এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে অনেককে; সমস্যা হয়েছে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ক্ষেত্রেও।

ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু তালেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইভিএমে ভোট দেওয়ার আগে আঙ্গুলের ছাপ মেলাতে হয়। সিইসি মহোদয় আঙ্গুলের ছাপ দু-তিন বার ট্রাই করেন। পরে ভোটার শণাক্তকরণ করে ইভিএম ভোট দেন।

“অনেকেরই এরকম মেলে না। যে অ্যাঙ্গেল থেকে আঙ্গুলের ছাপ দিতে হয়, তা সঠিক না হওয়ায় মেলে না।”

একই কারণে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা  কামাল হোসেন। পরে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় ভোট দেন তিনি।

কোনো কারণে আঙুলের ছাপ না মিললে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বিধি মেনে মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশকে ভোটার হিসেবে শনাক্ত করে ইলেকট্রনিক ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন।

লালবাগ ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রের বাইরে ভোটার আছিয়া বেগম অভিযোগ করেন, তাকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না নির্বাচনী কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার ফজলে হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছে না। উনাকে একটু পরে আসতে বলেছি। কারণ সকালে ঠাণ্ডায় অনেক সময় এরকম হয়ে থাকে। উনি ভোট দিতে পারবেন।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার তারেকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আঙুলের ছাপ মিলছে না এমন ভোটারের সংখ্যা ১ শতাংশের বেশি হওয়ায় নতুন করে আরো কয়েক শতাংশ বাড়ানোর জন্য বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেছিলেন তারা। সে আবেদনে সুযোগ বাড়ানোও হয়।

বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় ফল ঘোষণার আয়োজন। ইভিএম মেশিন থেকে ভোটের ফল সংগ্রহ করে তাতে প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষর নিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে অনলাইনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠানো শুরু করেন প্রিজাইডিং অফিসাররা।

পরে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন থেকে উত্তর সিটির ফল এবং শিল্পকলা একাডেমি থেকে দক্ষিণ সিটির ফল ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।