প্রতি মাসে নাগরিকদের সঙ্গে বসবেন মেয়র-কাউন্সিলররা: আতিক

পুনরায় ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচিত হলে প্রতিটি ওয়ার্ডের নাগরিকদের অভাব-অভিযোগ শুনতে নিয়ম করে প্রতি মাসে মতবিনিময় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2020, 12:08 PM
Updated : 27 Jan 2020, 02:31 PM

সোমবার উত্তরায় মাসকট প্লাজার সামনে নির্বাচনী প্রচারণায় এ কথা বলেন নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী।

এর আগে নয় মাস উত্তরের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা আতিকুল বলেন, “আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই তাহলে আমি কথা দিতে চাই, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতি মাসে ওই এলাকার জনগণের সামনে মেয়র এবং কাউন্সিলররা উপস্থিত হবে। অর্থাৎ জনগণের মুখোমুখি হয়ে তাদের কথা শুনব, অভিযোগ জানব, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেব।”

এর ফলে মেয়র এবং কাউন্সিলররা  জবাবদিহিতার আওতায় আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

সবার অংশগ্রহণে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, সেই আন্দোলন হবে মাদকের বিরুদ্ধে আন্দোলন।

“মাদকমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করব। আমাদের মাদকমুক্ত সমাজ গড়তেই হবে।”

এদিন উত্তরার মাসকট প্লাজার সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। পরে ৭ ও ১১ নম্বর সেক্টর, বাউনিয়া, নলভোগ, কালিয়ারটেক এলাকায় গণসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান তিনি।

প্রচারণায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, ”গণসংযোগের সময় জনগণের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।”

গণসংযোগের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে আতিকুল বলেন, “জনদুর্ভোগ হলে কিন্তু ভোট বাড়বে না, ভোট কমবে। তাই জনগণের ভোগান্তি যেন না হয় সে বিষয়ে আপনারা গুরুত্ব সহকারে নজর রাখবেন।”

৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের রানাভোলা এলাকায় পথসভায় আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই এলাকার রাস্তার যে অবস্থা তাতে কোমর ভেঙে যায়।’

উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত এসব এলাকার রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা। স্থানীয়দের পথ চলতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সোমবার এই এলাকার বিভিন্ন ভাঙাচোরা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ভোটারদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকার উন্নয়নে ইতিমধ্যে তিনি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, যা একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

“নৌকায় ভোট দিলে রাস্তায় কোমর ভাঙতে হবে না। এলাকার সব রাস্তার উন্নয়ন করব। এসব রাস্তাঘাট গুলশান-বনানী এলাকার রাস্তার মতো সুন্দর আধুনিক হবে।”