ভয় দেখিয়ে ভোট বানচাল করতে হামলা: ইশরাক

ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন বানচাল করতেই সরকারি দল প্রচারে হামলা চালিয়েছে বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 11:33 AM
Updated : 26 Jan 2020, 11:45 AM

রোববার দুপুরে নিজ এলাকায় তার কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগসমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মীদের সংঘর্ষের পর গোপীবাগের বাসায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানান।

ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, “ধানের শীষের জনপ্রিয়তা দেখে নির্বাচন বানচালের জন্য সরকারের প্রার্থীরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। এটা শুধুমাত্র নির্বাচনকে বানচাল করা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা মাত্র।

“আমি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা শান্ত থাকবেন, ঠাণ্ডা থাকেন। কোনো রকমের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুর ১টার দিকে মিছিল নিয়ে ইশরাক গোপীবাগে নিজের বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড় অতিক্রমের সময় ব্যাডমিনটন মার্কার রোকন উদ্দিন আহমেদ ও সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী লাভলী চৌধুরীর কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।

দুই পক্ষই শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময়ে হ্যান্ড মাইকেও ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিতে থাকেন কর্মীরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। দুই পক্ষের কর্মীরা এ সময় রাস্তার পাশে থাকা চেয়ারও ছুড়ে মারেন।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে। কয়েকটি গাড়ি এ সময় ভাঙচুরের শিকার হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইশরাক বলেন, “আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলরের ক্যাম্প থেকে আমাদের ওপর বড় বড় ইটপাটকেল মারা হয় এবং চেয়ার ছুড়ে মারা হয়, অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বিনা উসকানিতে। হামলার সময়ে গুলির আওয়াজ হচ্ছিল।

“শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে যখন বাসায় ফিরছি, তখন এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটলো। হামলায় আমাদের ৮/১০ জন মাথা ফেটে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিন জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আমার ওপরও হামলার সম্ভাবনা ছিল, নেতা-কর্মীরা সুরক্ষা দিয়েছে।”

তার মিছিল থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, “আমরা তো প্রচারণা চালিয়ে মিছিল করছি, ওখানে গুলি কোত্থেকে হবে। আমাদের ওপর ওরা গুলি করেছে।

“আমরা যখন এখানে আসবো তখন হামলা করা হবে, গুলি করা হবে- এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে তা জনগণ বিশ্বাস করবে না।”

এর আগে তার ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের উপর হামলার বিভিন্ন অভিযোগ দেওয়া হলেও নির্বাচন কমিশন বা থানা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন ইশরাক।

তবুও এই ‘হামলার ঘটনায়’ মামলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এতো কর্মী আহত হয়েছে, সাংবাদিকরা আহত হয়েছে। অবশ্যই আমরা মামলা করব।”

বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মির্জা আব্বাস, সদস্য সচিব আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, এহছানুল হক মিলন, নাজমুন নাহার বেবী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও রাজীব আহসান অন্যদের মধ্যে সেখানে ছিলেন।