রোববার দুপুরে গোপীবাগে ওই সংঘর্ষের ঘণ্টাখানেক পর উত্তেজনার মধ্যে গোপীবাগের যে গলিতে ইশরাকদের বাসা, সেখানে হাজারখানেকের বেশি নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর মধ্যে বিকাল ৩টার কিছুক্ষণ আগে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি গোপীবাগের আর কে মিশন লেনের মোড়ে এসে পৌঁছায়।
নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ও সংবাদমাধ্যমের গাড়ি থাকায় ওই গলি দিয়ে এগোতে পারছিল না ব্রিটিশ হাই কমিশনারের গাড়ি। পরে বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কর্মীদের রাস্তার দুই পাশে দাঁড় করিয়ে হাই কমিশনারের গাড়ি বাসার সামনে নিয়ে যান।
ইশরাকের বাড়িতে ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে স্বাগত জানান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রূল কবির খান।
বৈঠক শেষে নিচে নেমে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর সঙ্গেও দেখা করেছি। আজকে তারই অংশ হিসেবে আমি এখানে এসেছি। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই, যাতে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে।”
এর আগে বেলা ১টার দিকে ইশরাক মিছিল নিয়ে গোপীবাগে নিজের বাসার দিকে যাওয়ার সময় সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের মোড়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে ইশরাকের পক্ষে ১৪ থেকে ১৫ জনসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ছয় কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ঢিল ছোড়াছুড়ি হয়। ভাংচুর হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি।
এই ঘটনা নিয়ে ইশরাক সাংবাদিকদের বলেছেন, “মতিঝিলে প্রচারণা শেষ করে আমি কর্মীদের নিয়ে বাসায় আসছিলাম। তখন সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের কাছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলরের ক্যাম্প থেকে আমাদের ওপর বড় বড় ইটপাটকেল মারা হয় এবং চেয়ার ছুড়ে মারা হয়, অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বিনা উসকানিতে।
“এই হামলার সময় গুলির আওয়াজ হচ্ছিল। আমার কর্মীরা আমাকে এদিকে নিয়ে আসে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় ফিরছি তখন এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটল।”
এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ধানের শীষের এই মেয়র প্রার্থী বলেছেন, “আমাদের ধানের শীষের জনপ্রিয়তা দেখে নির্বাচন বানচালের জন্য এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে এই সরকারের যারা প্রার্থীরা রয়েছেন তারা। এটা শুধু নির্বাচনটাকে বানচাল করা এবং ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা মাত্র।
“আমি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা শান্ত থাকবেন, ঠাণ্ডা থাকেন। কোনো রকমের বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। আমি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানাব, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন, নিজের ভোট দেবেন।”