সমালোচকদের জবাব দিল গণতন্ত্র সূচকে অগ্রগতি: হাছান

বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে যারা সমালোচনায় মুখর, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সর্বশেষ গণতন্ত্র সূচক তাদের বক্তব্যকে অন্তঃসারশূন্য হিসেবে প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2020, 05:33 PM
Updated : 23 Jan 2020, 05:33 PM

তিনি বলেছেন, “দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর সদ্যপ্রকাশিত বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচক ২০১৯ এ বাংলাদেশের ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ওপরে। এতে প্রমাণ হয়, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে সমালোচনা অন্তঃসারশূন্য।"

সমালোচনামুখর বিএনপির ‘নেতিবাচক রাজনীতি’ না থাকলে এক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি হত বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

ইআইইউর সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় আট ধাপ এগোলেও স্কোর আগের বছরের সমান ৫ দশমিক ৮৮ ই রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতি সূচকেও বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এসূচকে দেশের তিন ধাপ অগ্রগতি এটাই প্রমাণ করে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে এবং সুশাসনের পথে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।"

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে দেওয়া চারটি নির্দেশের বিষয়টি তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রথমত, মিয়ানমার আর কোনোভাবেই 'জেনোসাইড কনভেনশন' ভঙ্গ করবে না, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের সেনা বা অন্য কোনো বাহিনী কোনোভাবেই আর গণহত্যা বা এধরনের কাজে লিপ্ত হবে না বা প্ররোচনা দেবে না। তৃতীয়ত, পূর্বে সংঘটিত সকল গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং আগামী চার মাস পর আদালতের আদেশ পালনের 'কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট' দাখিল করতে হবে, যা পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি ছয়মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিল অব্যাহত রাখতে হবে।”

এই নির্দেশনাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার প্রতিষ্ঠার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই সাথে আমি এটাও আশা করি, মিয়ানমার তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে অতিদ্রুত ফিরিয়ে নেবে এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব দেবে।”