গাম্বিয়াকে বিএনপির ধন্যবাদ

রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের (আইসিজে) সিদ্ধান্তের জন্য গাম্বিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে আমরা গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের উদ্যোগে আজকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস চারটি বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।

“তারা মিয়ানমারকে বলেছেন, জেনোসাইড যেন আর না ঘটে, এজন্য তাদেরকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর যেন খারাপ না হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। গাম্বিয়া যে মামলা করেছে, এখন তার বিচারটা চলতে থাকবে।”

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনে আইসিজের ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল বৃহস্পতিবার অন্তর্বতীকালীন এই আদেশ দেন।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিজের ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেয়। 

ভারত সীমান্তে গড়ত কয়েক দিনে কয়েকজন বাংলাদেশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তা বন্ধের দাবিও জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

স্কাইপে লন্ডন থেকে যুক্ত হওয়া তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ঢাকা সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানান ফখরুল।

তিনি  বলেন, “তাবিথ আউয়ালের উপরে শারীরিকভাবে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নির্বাচন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এজন্য আমরা কমিশনের প্রতি ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।

“সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা হচ্ছে তারা (কমিশন) বলছে যে, ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে। কোথাও কোনো ম্যাজেস্ট্রেট কাজ করছে বলে আমাদের জানা নেই।”

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন যে, বিরোধীদের পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়, পোস্টারের যে সাইজ দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বড় সাইজে ছাপানো হচ্ছে, ফেস্টুন, রঙিন ব্যানার ঝুলানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এসবের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে জোরালো আপত্তি জানিয়েছি। আমরা দুই দফা প্রতিনিধি কমিশনে গিয়ে আমাদের আপত্তির বিষয়টি জানিয়েছি।

“আজকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ইভিএম বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি। আমরা মনে করি, শুধু কারচুপি নয়, ফলাফল বদলিয়ে দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এই মেশিনের মাধ্যমে।”