সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহানগরী সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, এজিবি কলোনিসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচার চালানোর এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “সরকারি দলের প্রার্থী আমার বয়স নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
“আমি তরুণ সমাজকে বলতে চাই, আপনারা আমার সাথে থাকবেন। আমরা এবার দেখিয়ে দেব, তরুণরাও পারে। যারা তরুণদের বয়স নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন, তাদের দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা তরুণরাও নেতৃত্ব দিতে পারি।”
ইশরাক বলেন, “ধানের শীষের গণজোয়ার দেখছি আমি। আসুন, ভোট দিয়ে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনুন। আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেখিয়ে দিন তরুণরাও নেতৃত্ব দিতে পারে।”
ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক বলেন, “এই ভোট ধানের শীষের ভোট। এই ভোট গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ভোট। এই ভোট দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ভোট। আসুন ধানের শীষ ভোট দিন, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনে দেশে সুশাসনের পরিবেশ তৈরি করুন।”
ঢাকার বাসিন্দাদের ‘নাগরিক সেবা’ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন চান বলে জানান ইশরাক।
“আমরা বিশ্বাস করি, নাগরিক সেবা বাসিন্দাদের দ্বারপ্রান্তে নিতে হলে, তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। যারা ১২ বছর নেতৃত্বে আছেন তাদের এক দশকের আমলে ঢাকা পৃথিবীর সবচাইতে অপরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত হয়েছে, বসবাসের অনুপযোগী শহরের মধ্যে অন্যতম শহরে উঠে এসেছে।”
২০১৫ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। তিনি এবার ইশরাকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী।
ইশরাকের পক্ষে প্রচারে নেমে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি ঢাকার মেয়র ছিলাম, ইশরাকের বাবা সাদেক হোসেন খোকাও ঢাকার মেয়র ছিলেন। তখন এই ঢাকার অবস্থা এমন ছিল না। একটা গোছালো শহর ছিল। আজকে ঢাকায় যানজট, দূষণ, ধুলোবালির মধ্যে নাগরিকদের বসবাস করতে হচ্ছে।
“ইশরাক একজন প্রকৌশলী। সে একজন যোগ্য প্রার্থী। তাকে ভোট দিন। আমারা তার কাছ থেকে ইনশাল্লাহ শান্তিময় পরিচ্ছন্ন ঢাকা দেখতে পাব।”
প্রচারে আরও অংশ নেন বিএনপির আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।