সোমবার সন্ধ্যায় পল্লবীতে এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “মশার আক্রমণে গণসংযোগ করতে পারলাম না। আর কতদিন আপনারা মশার যন্ত্রণায় পড়বেন, য্গেুলোতে মারা যাবেন?”
তাবিথ বলেন, “আর কত দিন আপনারা দূষণে জীবন নষ্ট করবেন? উন্নয়নের মুখোশে সড়ক বানানো হচ্ছে না, অথচ বিল চলে যাচ্ছে- এ অন্যায়টা আপনারা কত দিন সহ্য করবেন? আর কতদিন আপনারা আপনাদের সামনে দুর্নীতি সহ্য করবেন?”
“আমরা আর সহ্য করতে রাজি না। তাই ১ ফেব্রুয়ারি আপনাদের রায় দেন বিএনপিতে। অতি শিগগিরই আসছে আমাদের পরীক্ষার দিন।”
মেয়র নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও ডেঙ্গু দমনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধানের শীষের এই মেয়র প্রার্থী বলেছেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য প্রতিরোধ করতে হবে ডেঙ্গুকে, প্রতিরোধ করতে হবে দুর্নীতিকে। আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে দূষণকে, প্রতিরোধ করতে হবে দুঃশাসনকে।”
নির্বাচনী পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে জানিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, “পরিস্থিতি ক্রমেই বদলাচ্ছে। পরিস্থিতি যদি এমন থাকে তাহলে ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারবেন।”
তাবিথ আউয়াল বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চ্যালেঞ্জ হল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, সাধারণ জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করা, দেশের রাজনীতি ও জনকল্যাণে কাজ করা। সেগুলো আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী দিনে ঢাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব।”
মেয়র হলে এক বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরের যানজট নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতিশ্রুতি দেন তাবিথ।
তিনি বলেন, “এখন ঢাকার যানবাহনের গতি ৪ কিলোমিটার। আমি নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করে তা ৮ কিলোমিটারে উন্নীত করব। ধীরে ধীরে আমি এক চলমান ঢাকা গড়ে তুলব।”
সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্লাস্টিকের পোস্টার, মাইকের ব্যবহার, সড়ক আটকে জনসংযোগের নানা অভিযোগ থাকলেও তাবিথ দাবি করেন, বিএনপির প্রার্থীরা আচরণবিধি ‘যথাযথভাবে’ মেনে চলছেন।
তিনি বলেন, “অন্যদের ব্যাপারে আমরা দেখছি। নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ না নিলে আচরণ বিধি লঙ্ঘন হতেই থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাই, সকলের জন্য একই রকমের নিয়ন্ত্রণ থাকে।”