পিএস-এপিএসেই ‘বসে থাকবেন না’ দুদক চেয়ারম্যান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএসকে তলবের কথা জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, পিএস-এপিএসদের জিজ্ঞাসাবাদেই কাজ শেষ করবেন না, অনিয়ম-দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত তা খুঁজে বের করবেন তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2020, 01:45 PM
Updated : 20 Jan 2020, 01:45 PM

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাঈদ খোকনের এপিএস শেখ কুদ্দুসকে হাজির হতে গত ১৪ জানুয়ারি নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশটি মেয়র বরাবর পাঠিয়ে তার এপিএস কুদ্দুসকে ২১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

পিএস-এপিএসদের ডাকা হলেও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনের বিষয়ে দুদকের উদ্যোগ রয়েছে কি না তা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সাংবাদিকদের থেকে বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন বিভাগে মেয়র সাঈদ খোকনকে 'মিস্টার টেন পারসেন্ট' বলে ডাকা হয়। এ রকম অনেকেই আছে। তাদের বিষয়ে দুদক নীরব কেন?

এর জবাবে দুদক প্রধান ইকবাল মাহমুদ বলেন, “আমরা নীরব না। আমাদের যে চোখ নেই তা না, দুর্নীতি যেখানেই ঘটেছে সেখানেই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং আমার জানা মতে অলরেডি একটি মামলা হাই কোর্টে আছে যে কোনো একজনের বিরুদ্ধে।

“আর ১০ পারসেন্ট বা ৫ পারসেন্ট, এসব বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে দুর্নীতি হয়েছে কি না, সেটা যদি ১ শতাংশও হয় সেটাও দুর্নীতি। ওয়েট অ্যান্ড সি।”

সাবেক সচিব ইকবাল বলেন, “দুর্নীতিটা কীভাবে ঘটেছে সেটা যদি পিএস-এপিএসরা বলতে পারে, আমরা খুঁজে বের করব।

“সুতরাং চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই, যে আমরা পিএস-এপিএস দিয়ে শেষ করব। পিএস-এপিএস ছাড়াও যারা যুক্ত ছিলেন, যুক্ত হয়েছেন বা যুক্ত আছেন আমরা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবভ”

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “আপনারা দেখেছেন কাউকে ডাকতে আমাদের কলম কাঁপেনি। আমরা ডাকি তাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য।

“আমরা বলতে চাই, আপনি আপনার বক্তব্য বলে যান। বক্তব্য যদি সঠিক হয় আমরা তা গ্রহণ করি। সঠিক না হলে তা অন্যভাবে শনাক্ত করার চেষ্টা করি।”

গত ১৪ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনার নামে দুর্নীতির অভিযোগে নোটিশ দিয়েছে দুদক। কমিশনের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা নোটিশে তাকে ২০ জানুয়ারি তলব করা হলেও এদিন তিনি উপস্থিত হননি। তিনি সময় চেয়ে দুদকে আবেদন জানিয়েছেন।

এছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) এজাজ চৌধুরীকে আগামী ২১ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।

কমিশনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।