রোববার লালবাগের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগের সময় অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে ইশরাক বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, “আজকে আমার বাবা নেই। আপনারাই আমার অভিভাবক। আপনারাই আমার মা, আপনারাই আমার বাবা। আপনারা আমাকে পথ দেখাবেন, আমাকে দেখে রাখবেন। আপনাদের দোয়া নিতে, আপনাদের আশির্বাদ নিতে আমি এখানে এসেছি।”
ধানের শীষে ভোট চেয়ে তিনি বলেন, “আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের দোয়ায় আমি ইশরাক হোসেন কোনো কিছুকেই ভয় করব না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। আপনাদের পাশে আছি, পাশে থাকব সব সময়ই।”
ইশরাকের বাবা সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন পুরান ঢাকার বাসিন্দা। সূত্রাপুর, আজিমপুর, লালবাগসহ আশপাশের বাসিন্দাদের অনেকে তাকে ‘পুরান ঢাকার খোকা’, ‘ক্র্যাক প্লাটুনের খোকা’ হিসেবে চেনেন।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ৮ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। পরে তার মরহেদ ঢাকায় এনে জুরাইনে দাফন করা হয়।
প্রচারের দশম দিনে ইশরাক পায়ে হেঁটে ধানের শীষ হাতে নিয়ে ভোট চেয়েছেন পুরান ঢাকার অলি-গলিতে। সরু রাস্তার দুই পাশে এবং ভবনের বারান্দা ও জানালার ফাঁক দিয়ে নারী-শিশুদের হাত নেড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
নির্বাচন ঘিরে নানা ‘ষড়যন্ত্র চলছে’ অভিযোগ করে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, “এ বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে ১ ফেব্রুয়ারির ভোট হচ্ছে, ঢাকা মহানগরীকে ধ্বংসের কবল থেকে রক্ষার ভোট, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ভোট, দুর্নীতিমুক্ত দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গড়ে তোলার ভোট, যানজটমুক্ত পুরান ঢাকা গড়ার ভোট এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির পক্ষে ভোট।
“আপনারা সবাই আমার অভিভাবকের মতো। আপনারা এই সুযোগ ছাড়বেন না। ভোটের দিন ভোট দিতে অবশ্যই ভোট কেন্দ্র আসবেন।”
এরপর তিনি ছাপড়া মসজিদ সড়ক, আজিমপুর কবরস্থান সড়ক ও লালবাগ এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল হাই, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আসাদুল হাবিব দুলু, মীর সরফত আলী সপু, শফিউল বারী বাবু, কাজী আবুল বাশার, এস এম জিলানি, মোরতাজুল করীম বাদুরসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
‘দয়া করে ব্যবস্থা নিন’
বিভিন্ন জায়গায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে অভিযোগ করে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ চেয়েছেন ইশরাক হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাচ্ছি, ধানের শীষের পোস্টার টাঙাতে দেওয়া হচ্ছে না। টাঙালে তা ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি নিজে এবং আমাদের কাউন্সিলর পদে সমর্থিত প্রার্থীরা অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
“কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আমরা দেখছি না। পুলিশকে বলা হচ্ছে, কোনো ব্যবস্থা নেই। এভাবে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা একটা ছোটলোকি কাজ বলে আমি মনে করি। নির্বাচন কমিশনকে বলব, প্লিজ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।”