রোববার বিকালে ভাসানটেকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “দশদিনের মাথায় আমি বিশ্বাস করি, পরিস্থিতি এখন সুশৃঙ্খল আছে।”
সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ প্রসঙ্গে বিষয়ে তাবিথ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা যে ইলেকশন কমিশনের নাই, তারিখ পেছানো তার একটা সবচেয়ে বড় প্রমাণ। তফসিল ঘোষণার দিন থেকে সকলে বলে আসছেন, একটা বিতর্কিত তারিখ ওনারা নির্ধারণ করেছেন। সকলের অভিযোগের বিপরীতে তারা হাসি-ঠাট্টা, তামাশা করেছেন। তারা বলেছেন, একইসাথে স্কুলে ইলেকশনও চলবে, পূজাও চলবে।”
তবে ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিনটি সব মহলে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করেন তাবিথ।
“দুইদিন বাড়তি বা কমের বিষয় না, এটা বৃহত্তর জাতীয় ইস্যু ছিল। জাতীয় ইস্যুটাকে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করেছে, আমলে নেয় নাই।
“নির্বাচন কমিশন যে নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন, যেটা সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য। তবে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব হওয়াতে নিজেদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তারা নিজেরাই তুলেছেন। আমাদের প্রচারণা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি, যেকোনো তারিখে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত আছি।”
“আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য, ভোটারদের অধিকার রক্ষা করার জন্য, সে মর্মে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত আছে, আমাদের লড়াই অব্যাহত আছে। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করবে, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য, সামনে আরও নাটক আমরা দেখতে পারি।
“আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল হিসেবে কিন্তু প্রস্তুত, যে তারিখই দিক, সে তারিখে ভোটের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বুঝিয়ে দেব আমাদের ভোটের অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য প্রার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“পরিবেশ সুষ্ঠু করার জন্য সকলকে দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক কিছু কাজ করে দেখাতে হবে।”