বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীতে প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ইশরাক বলেন, “ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে এখন সরকারি দলের লোকজন আমাদের ওপর বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে, আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে, আমাদের পোস্টার ছিড়ে ফেলছে।
“কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে আমরা বিচার পাচ্ছি না। অভিযোগ করলে কোনো প্রতিকার নেই।”
সকালে পুরান ঢাকায় ধানের শীষের পক্ষে প্রচার চালাতে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির এই মেয়র প্রার্থী।
তিনি বলেন, সকাল ১১টার দিকে সদরঘাট এলাকায় বিএনপি সমর্থিত কমিশনার ফরহাদ রানাকে নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হাই, মীর সরফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্র দলের কিছু নেতা-কর্মী প্রচারণা শুরু করলে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কর্মীরা হামলা চালায়। এতে আবদুল হাইসহ সাত থেকে আটজন আহত হয়। পরে তাদের প্রচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ১০টায় দয়াগঞ্জ ব্রিজ থেকে গণসংযোগ শুরু করেন ইশরাক। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, কাজলা প্রধান সড়ক, শনিরআখড়া, মৃধাবাড়ী ক্যানেল রোজ হয়ে কোনাবাড়ি পর্যন্ত প্রচার চালান তিনি।
পায়ে হেটে অলি-গলিতে লিফলেট দিয়ে ভোট চান ইশরাক।
তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে এসেছি আপনাদের দোয়া নিতে। আমার বাবা আপনাদের সেবা করেছেন, আপনারা তাকে মেয়র করেছিলেন। তখন ঢাকা অবিভক্ত ছিল। এখন আমি আপনাদের কাছে এসেছি একটি ভোট ধানের শীষের দেবেন- এই কথা জানাতে।
ধানের শীষের পক্ষে ‘গণজোয়ারে দেখে’ সরকার নতুন করে ‘ষড়যন্ত্র’ শুরু করেছে অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, যে মামলা নোটিশের জবাব না দেওয়ার জন্য করা হয়েছে। ২০০৮ সালে সম্পদের বিবরণী চেয়ে যে নোটিশ দেয়া হয়েছিল, তার জবাব না দেয়ার কারণে হয়েছে।”
গণসংযোগকালে ইশরাকের পাশে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন গলি দিয়ে যখন ইশরাক মিছিল নিয়ে এগোচ্ছিলেন, তখন রাস্তার দুই ধারে ছাড়াও উঁচু ভবনের বারান্দায় নারী-শিশুদের দাঁড়িয়ে হাতে নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। অনেকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে ইশরাককে শুভেচ্ছা জানায়।
একজন শিশুকে কোলে নিয়ে শিশুদের বাসযোগ্য নতুন ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র পদে বিএনপির এই তরুণ প্রার্থী।