ভোটের দিন বদলের আন্দোলনে কামালের ‘নীতিগত’ সমর্থন

সরস্বতী পূজার দিনে ভোটগ্রহণের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনও।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2020, 12:37 PM
Updated : 16 Jan 2020, 01:13 PM

আর ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছেন, তার বিপক্ষেও তিনি নন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে পূজার মধ্যে ভোটগ্রহণে আপত্তি জানান কামাল।

তিনি বলেন, “সরস্বতী পূজার দিনে এটা করা সরকারের একটা অন্যায় কাজ হয়েছে। এটা অতীতে কোনোদিন হয়নি। এটা সরকারের একদম গাফিলতি এবং ব্যর্থতা।”

৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে ইসি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার বিরোধিতা চলছে। এনিয়ে একটি রিট আবেদন হলেও ইসির পক্ষেই যায় হাই কোর্টের আদেশ। এখন আপিল বিভাগে হয়েছে আবেদন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সরস্বতী পূজার দিন ভোট না রাখতে নেমেছে আন্দোলনে, যার নেতৃত্বে রয়েছে জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হল ছাত্র সংসদের নেতারা, যাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত।

ভোটের তারিখ পরিবর্তনে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে আপনাদের সমর্থন আছে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নে ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল বলেন, “নীতিগতভাবে তো আমরা পক্ষে।”

দুই সিটিতে ৪টি পথসভা

সিটি নির্বাচনে বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনকে সমর্থন দেওয়ার পর এখন তাদের জন্য ভোট চেয়ে ঐক্যফ্রন্ট চারটি পথসভা করবে বলে জানিয়েছেন কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, “উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুটি করে মোট ৪টি পথসভা আমরা করব।”

সিটি নির্বাচনে জোটভুক্ত দল বিএনপির প্রার্থীদের সমর্থন দিলেও ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন কামাল।

তিনি বলেন, “ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারের দলীয় প্রার্থী, মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী জনসংযোগে বাধা ও হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।”

দেশের চলমান অবস্থায় অসন্তোষ জানিয়ে গণফোরামের সভাপতি কামাল বলেন, “অর্থনীতি এমন ভয়ঙ্কর অবস্থায় গেছে যে, একজন পিতা মাত্র ৬০০০ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের জন্য তুলে দিয়েছে পাওনাদারের হাতে।

“সরকার যখন উন্নয়নের ঢোল পেটাচ্ছে, তখন মানুষের অভাব এবং অসহায়ত্ব কোনো পর্যায়ে গেছে, এই ঘটনা তার এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।”

বৈঠকে পুঁজিবাজার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, কারসাজির মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুণ্ঠন হচ্ছে।

মতিঝিলে কামালের চেম্বারে এই বৈঠকে জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুল মঈন খান, গণফোরামের আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, রেজা কিবরিয়া, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির আসম আবদুর রব, সা ক ম আনিসুর রহমান খান, সানোয়ার হোসেন তালুকদার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহিদ-উর রহমান, মমিমুল ইসলাম, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী ও জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।